অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলি জেলার অধিবেশন কর্মসূচি থেকে বলেন, “এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে ক’জনের নাম জিজ্ঞেস করেছে। তাতে ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জনই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার। আর বেশ কয়েকজন ছিল মুর্শিদাবাদের।” তাঁর যুক্তি, যে সময় এই দুর্নীতি হয়েছে সেই সময় অধিকারী গড় ছিল পূর্ব মেদিনীপুর এবং মুর্শিদাবাদ জেলার দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী নিজে।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে বিমান বন্দরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকান হয়। তাঁর তল্লাশি নেওয়া হয়। এরপর জানা যায়, তাঁকে আগামী ৮ জুন তলব করেছে ইডি আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদের কারণে তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই অভিষেক এদিন বলেন, “আমাকে গ্রেফতার করুক, আমার স্ত্রীকে গ্রেফতার করুক। কিন্তু আমি মাথা নোয়াব না।”
অভিষেক এদিন চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ” বিমানবন্দরে ৫০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। একটা ফুটেজ দিক। আমার সঙ্গে লড়াই করে পারছেন না।” মূলত তাঁর নব জোয়ার কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্যেই এসব পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অভিষেক এদিন আরও জানান, ” যাদেরকে টিভিতে টাকা নিতে দেখা যায়, পরিচিতদের বাড়ি থেকে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতির দলিল পাওয়া যায় তাদের সিবিআই ডাকে না।” এই প্রসঙ্গেই অভিষেক বলেন, ” এই এসএসসি দুর্নীতির সবথেকে যদি কেউ বড় সুবিধাভোগী থাকে সেটা শুভেন্দু অধিকারী। সব দালালদের কাজে লাগিয়ে টাকা তুলেছে। আজকে আমার স্ত্রীর নামে অভিযোগ তুলছো, মামলা করো, কে বারণ করেছে।”
পাশাপাশি, এদিন তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতারি নিয়েও চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে তিনি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারকে সম্মান দিয়ে তিনি চ্যালেঞ্জ জানান, গ্রেফতার করা হোক। কিন্তু তিনি মাথা নোয়াবেন না। দিল্লির কাছে তিনি মাথা নোয়াবেন না বলে জানান অভিষেক। পাশাপাশি, সারদা থেকে নারদা এমনকি কয়লা, গোরু পাচারের তদন্ত দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এতদিন ধরে কোনও তলব হয়নি, তাঁর নব জোয়ার কর্মসূচির মাঝেই এটা করা হচ্ছে কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।