জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গতকাল, রবিবার রাতে এবং আজ, সোমবার ভোরে যথেষ্ট ভালো পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে মালবাজার মহকুমায়। পাশাপাশি বৃষ্টি হয়েছে সন্নিহিত পাহাড়ি এলাকাতেও। মাত্র একদিনের এই বৃষ্টির জেরেই মাল ব্লকের ঘীস নদীতে রীতিমতো বেড়েছে স্রোতের টান। আর এই নদীর জলে, পাহাড়ি এলাকা থেকে ভেসে এল একটি ১১ ফুটের এক অজগর।

গতকাল রাতে ঘীস নদীর জলে কিছু শ্রমিক স্নান করছিলেন। তখন তাঁরা নদীতে একটি অজগর দেখতে পান। এরপর স্থানীয় যুবক জাহাঙ্গীর আলম একটি বস্তা নিয়ে নদী থেকে অজগরটিকে উদ্ধার করেন। এরপর তারঘেরা বন দফতরকে খবর দিলে রাতেই এসে বস্তাবন্দি অজগরটিকে নিয়ে যায় বনকর্মীরা। 

আরও পড়ুন: Jalpaiguri: উত্তাল নদীজল ভাসিয়ে দেয় জনপদ! ভোটের আগেই কি বাঁধনির্মাণের কাজ শুরু হবে?

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অজগরটি সুস্থ থাকায় জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সেটিকে। স্থানীয়দের দাবি, গতকাল রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়েছে। সেই কারণে কোনও পাহাড়ি এলাকা থেকেই নদীর জলে ভেসে এসেছে অজগরটি।

এদিকে কদিন আগেই একই চা-বাগানে একদিকে চিতা অন্য দিকে অজগরের দেখা মিলেছিল। একটি মৃত, অন্যটি জ্যান্ত। চা-বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল লেপার্ডের দেহ। মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের আইবিল চা-বাগানের নয়া কামান ডিভিশনের ১৮ নম্বর সেকশনে লেপার্ডের দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন শ্রমিকরা। খবর পেয়ে এলাকায় যান বাগানের ওয়েলফেয়ার অফিসার রাজেন বড়াইক। তিনি খবর দেন  বন দফতরের খুনিয়া স্কোয়াডে। সেখান থেকে বনকর্মীরা এসে লেপার্ডের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান। লেপার্ডের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য গরুমারায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: Jalpaiguri: পাকাপাকি এল বর্ষা? ভোরের আলো ফোটার আগেই মাটি স্পর্শ করল নতুন বৃষ্টি…

অন্য দিকে, এই চা-বাগান থেকেই একটি অজগরও উদ্ধার হয়েছিল সেদিন। প্রায় ১২ ফুট লম্বা ছিল অজগরটি। বাগানের ২১-এ সেকশনে কাজ করার সময় শ্রমিকরা অজগরটিকে দেখতে পান। সাময়িক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কাজকর্ম। তড়িঘড়ি বাগান কর্তৃপক্ষ বন দফতরের খুনিয়া রেঞ্জকে খবর দিয়েছিলেন। বনকর্মীরা এসে অজগরটিকে উদ্ধার করেন। রেঞ্জার সজল দে বলেছিলেন, ইন্ডিয়ান রক পাইথনটিকে উদ্ধারের পর সেটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version