মঙ্গলবার রাত্রিতে পুরুলিয়ার বলরামপুর থানার ডাভা এলাকায় লাল কালিতে হাতে লেখা মাও নামাঙ্কিত পোস্টারকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে এলাকায়। রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই নিয়ে শুরু হয় তুমুল চর্চা। লাল কালিতে হাতে লেখা মাও নামাঙ্কিত পোস্টার গুলিতে বলরামপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক বানেশ্বর মাহাতোকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টারে লেখা রয়েছেন, ‘বিজেপি বিধায়ক বানেশ্বর মাহাতো যদি প্রাণে বাঁচতে চান তবে সাতদিনের মধ্যে তৃণমূলে যোগ দিন। নইলে গুলি করে শেষ করে দেব। আমাদের সঙ্গে কোনএ চালাকি করবেন না। সাত দিনের মধ্যে গুলি করব।’ ওই পোস্টারের কুমুদ রঞ্জন চৌধুরি নামে একজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কে বা কারা এই পোস্টার ছড়াল, সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোরদার বিতর্ক। বিজেপির অভিযোগ, গোটা ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। যদিও গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
বিজেপি বিধায়ক বানেশ্বর মাহাতো এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বলরামপুর বিধানসভার ডাভা মোড়ে মাওবাদী নামাঙ্কিত অনেক পোস্টার দেওয়ালে লাগানো হয় এবং উদ্ধার হয়। পোস্টারে মাওবাদীদের নাম ছিল। আমাকে গুলি করে হত্যা করার হুমকি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে, কে বা কারা এমন পোস্টার দিল। ভোটের আগে বলরামপুর বিধানসভায় এই উত্তেজনা তৈরির জন্যই এই ধরনের কাজ করা হচ্ছে। সুপরিকল্পিতভাবে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। প্রশাসনকে বলছি এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করা হোক। আমার মনে হয় এটাও মাওবাদী নয়, শাসকদলের দুষ্কৃতীরা লিখেছে। এটাকে তদন্ত করে দেখা হোক।’
বাম আমলের শেষ দিকে পুরুলিয়া জেলাতে মাওবাদীদের যথেষ্ট প্রভাব ছিল। এমনকী এখানে একাধিক নাশকতার ঘটনাও ঘটে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ক্রমশ মাওবাদীদের প্রভাব থেকে মুক্ত হয় জঙ্গলমহলের এই জেলা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নতুন করে এই পোস্টার ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে তরজা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।