CESC-র বিরুদ্ধে শহরবাসীর ক্ষোভ সহ্যের সীমা অতিক্রমণ করতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলল বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা। শনিবার ফেসবুকে বিবৃতি জারি করেছে CESC। লোডশেডিংয়ের কারণ তুলে ধরার পাশাপাশি উপভোক্তাদের দেওয়া হয়েছে পরামর্শও।
CESC-র বিবৃতি অনুযায়ী, ‘আমাদের শহরে অপ্রত্যাশিতভাবে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ছে। স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বাড়ছে তাপমাত্রা। বিগত বহু বছর ধরে আমরা সফলভাবে শহরের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পেরেছি। ১৬ জুন ২০২৩-র ২৬০৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা আমরা পূরণ করতে পেরেছি।’
CESC বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘এই পরিস্থিতিতে, আমরা অত্যন্ত আন্তরিকভাবে আমাদের মূল্যবান গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ করছি তাঁরা যেন তাঁদের এয়ার কন্ডিশনারগুলির ন্যায়সঙ্গতভাবে ব্যবহার করেন এবং সিইএসসি অনুমোদিত বিদ্যুতের লোডসীমা বজায় রাখার চেষ্টা করেন। এটা আমাদের ওভারলোডিংয়ের সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে সঠিকভাবে পরিষেবা দিতে সাহায্য করবে। এই বিষয়ে আমরা আন্তরিকভাবে সকল গ্রাহকের সহযোগিতা চাই।’
অন্যদিকে কলকাতার পাশাপাশি গোটা বাংলাও লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জড়জড়িত। গরমের পর অসহ্য বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ঘেমে নেয়ে নাজেহাল রাজ্যবাসীরা। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে সরকারকে।
সম্প্রতি বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে বিদ্যুৎ ভবনে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। রাজ্য সরকারের গাফিলতিকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ হিসেবে দায়ী করেন শুভেন্দু।
শুভেন্দুর বিদ্যুৎ দফতর অভিযানের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান রাজ্যে বিদ্যুতের কোনও ঘাটতি বাংলায় নেই। মন্ত্রী বলেন, ‘এসি বসানোর আগে লোড বাড়িয়ে নিলেই সমস্যার সমাধা হবে। যান্ত্রিক ত্রুটি ও প্রাকৃতিক কারণে কখনও কখনও এই ধরনের পরিস্থিতি হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলা গোটা দেশের মধ্যে সেরা। রাজ্য বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। যেখানে যেখানে সমস্যা হচ্ছে, সেখানে দ্রুততার সঙ্গে তা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’