জানা গিয়েছে মঙ্গলবার সকালে চিল্কিগড় কনকদুর্গা মন্দিরে ঢোকার মুখে যাত্রী প্রতিক্ষালয়ে এই পোস্টারগুলি সাঁটানো অবস্থায় দেখা যায়। লালকালিতে লেখা ছিল পোস্টারগুলিতে। তৃণমূল সরকারকে কার্যত বিদায় জানানর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জবাবও চাওয়া হয়েছে ওই পোস্টারে।
<p>মাও নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার</p>
কী লেখা পোস্টারগুলিতে?
এদিন বেশকিছু পোস্টার পাওয়া গিয়েছে ওই এলাকায়। পোস্টারগুলিতে বেশকিছু বিষয় তুলে দেওয়া হয়েছে. ‘ ১. ইন্দিরা আবাস পাওয়ার যোগ্য জনগণ পাচ্ছে না, কেন মুখ্যমন্ত্রী জবাব চাই? ২. ফেক এস টি সার্টিফিকেট প্রদান অবিলম্বে সরকারকে বন্ধ করতে হবে। ৩. মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা সত্ত্বেও এখনও ভাতা দেওয়া হয়নি কেন মুখ্যমন্ত্রী জবাব চাই? ৪. লক্ষীর ভাণ্ডার ৫০০ টাকা দিয়ে জনগণকে ভোলাবেন না। দিদিমণি আমরা সন্তানদের চাকরি চাই। ৫. টিএমসির নেতা বা নেত্রীরা গ্রামে গিয়ে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণের কাছে ভোট চাইবেন না। নবজোয়ার কর্মসূচিকে আমরা ২০২৪-এ বিদায় জানাব। ৬. আসল মাওবাদী তদন্ত করে এখনও নিয়োগ হল না কেন, মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চাই? ৭. ফেক এসটি সার্টিফিকেট দুর্নীতি করে যেমন চাকরি করছে, ওইভাবে স্পেশাল হোম গার্ডেও দুর্নীতি করে চাকরি করছে অনেকে। যে কোনও ক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে কেন মুখ্যমন্ত্রী জবাব চাই?’
এছাড়াও পোস্টারে পেট্রোল ডিজেল রান্নার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি সহ বেশকিছু বিষয়কে তুলে ধারা হয়েছে। পোস্টারগুলিতে লেখা রয়েছে, ‘মাওবাদী জিন্দাবাদ এবার বিদায় নিতে হবে টিএমসিকে। আবার ২০১০-১১ সালকে ফিরে পেতে চাই। টিএমসির সরকার জনগণের উপর খুব অত্যাচার করছে। করুক আমার আছি। আবার জঙ্গলমহলে টিএমসির রক্ত ঝরবে। এবার খেলা জমবে টিএমসি ভার্সেস সিপিআই মাওবাদী। টিএমসির দাদা বা দিদি এবার হুঁশিয়ার।’
গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল
যদিও এই পোস্টারের নেপথ্যে মাওবাদীরা রয়েছে বলে মানতে নারাজ তৃণমূল। তাদের দাবি, ‘বিরোদীরে বড় চক্রান্ত। ঝাড়গ্রামে তৃণমূল সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, পরিষ্কার কথা, এটা মাওবাদী নয়, অন্য কেউ নয়। এটা বিরোধীদের একটা বড় চক্রান্ত। ভোট এলে বিভিন্ন সমাজ, মাওবাদী নাম করে পোস্টার দেয়। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আছে। এই পোস্টারের কোনও ভিত্তি নেই। উন্নয়ন ও সম্প্রীতির ভোট হবে জঙ্গলমহলে। শান্তির ভোট হবে জঙ্গলমহলে।’
এদিকে ইতিমধ্যেই পোস্টারগুলিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টারগুলি উদ্ধারের প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, ‘কেউ বা কারা স্থানীয় সমস্যা নিয়ে এই ধরনের পোস্টারিং করেছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’