একনজরে কলকাতার আবহাওয়া?
শনিবার সকাল থেকেই মুখ ভার কলকাতার। দিনভর বিক্ষিপ্তভাবে চলেছে বৃষ্টি। রবিবারও হাওয়া বদলের বিশেষ সম্ভাবনা নেই। এদিকে ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে কলকাতাবাসী।
রবিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একধাক্কায় নেমেছে ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল সর্বাধিক ৯৬ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৭৭ শতাংশ।
রবিবারও কলকাতার বিশেষ হাওয়া বদলের সম্ভাবনা নেই। মূলত মেঘলা থাকবে আকাশ। দিনভর চলতে পারে বৃষ্টিপাত। বৃষ্টিপাতের জেরে তাপমাত্রা জনিত অস্বস্তি কমবে। ভ্যাপসা গরমের থেকে পাওয়া যাবে মুক্তি।
কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। কমবেশি সমস্ত জেলাতেই হবে বৃষ্টিপাত। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতে রয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
কমবেশি স্বস্তি ফিরবে সমস্ত জেলাগুলিতেই। গরমের থেকে মিলবে মুক্তিও।
কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া?
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশ কিছুটা কমতে চলেছে।
এদিন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদাতে রয়েছে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাত অপেক্ষাকৃত কমবে। বর্ষা প্রবেশের পর থেকেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কার্যত টানা বৃষ্টিপাত চলছিল। দার্জিলিঙে ভারী বৃষ্টি হয়। সেই জায়গা থেকে বৃষ্টিপাত কমায় পর্যটকরাও স্বস্তি পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃষ্টিপাতের ঘাটতি…
এই বছর কেরালাতেও দেরিতে প্রবেশ করেছে বর্ষা। ১ জুন বর্ষা প্রবেশের স্বাভাবিক সময় হলেও তা বিলম্বিত হয়। এর নেপথ্যে অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে আসছে আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়।
স্বাভাবিকভাবেই বাংলাতেও দেরিতে ঘটেছে বর্ষার প্রবেশ। জুন মাসে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় রয়েছে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি। যদিও মৌসম ভবনের তরফে জানানো হচ্ছে, চলতি বছর স্বাভাবিক হবে বর্ষা।