সরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে পিপিপি মডেলে তৈরি হওয়া ডায়েলিসিস সেন্টার, ন্যায্য মূল্যে ওষুধের দোকান কর্তৃপক্ষকে ওই নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশান করতে হবে। এরপর নিয়মিত রোগীদের সমস্ত তথ্য, নিবন্ধন আপলোড করতে হবে নির্দিষ্ট সেকশনে। ফলত, রোগীর অসুস্থতার তথ্যাবলিও সহজে সংরক্ষিত হবে স্বাস্থ্য দফতরের ইন্টিগ্রেটেডে হেলথ মনিটরিং সিস্টেমের কেন্দ্রীয় সার্ভারে।
সেক্ষেত্রে, সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে পিপিপি মডেলে চলা এই সেন্টারগুলোতে কোনও রোগী গেলে তাঁর আইডেন্টিটি সংক্রান্ত তথ্য সঙ্গে সঙ্গে ওই ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। রোগীদের কোন চিকিৎসক দেখেছেন, কী ওষুধ দেওয়া হয়েছে বা রোগীর সমস্ত চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য আপলোড করতে হবে ওই ওয়েবসাইটে।
স্বাস্থ্য বিভাগের এক অধিকর্তা জানিয়েছেন, আপাতত বেশ কিছু সেন্টারে মডেল হিসাবে এই ওয়েবসাইট ব্যবহার শুরু হয়েছে। তবে এই প্রজেক্ট কার্যকরী হলে রাজ্যের সমস্ত পিপিপি মডেলে চালু থাকা সমস্ত ডায়েলিসিস সেন্টার, ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে এই ব্যবস্থা আবশ্যক করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জুলাই মাস থেকেই রাজ্যের সমস্ত হাসপাতাল গুলিতে চালু করা হয়েছে ই প্রেসক্রিপশন সিস্টেম। রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত রেকর্ড রাখার জন্য, পাশাপাশি রোগীর জন্য কি চিকিৎসার ব্যাবস্থা হয়েছে, কী ধরনের ওষুধ ব্যবসার করা হয়েছে, সেই সমস্ত পুরো তথ্য রাখার জন্য এই ই প্রেসক্রিপশন সিস্টেম ব্যবস্থা চালু করার কথা ভাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
জুলাই মাসের শুরু থেকেই রাজ্যের হাসপাতাল গুলিতে হাতে লেখা চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন দেওয়ার ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। রাজ্যের ১৭৪টি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ই প্রেসক্রিপশন ব্যবস্থা শুরু করে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে রাজ্যের ৯১৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের।