রক্তাক্ত অবস্থায় পালানোর চেষ্টা করেন আহতরা। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। সূত্র মারফৎ খবর, এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বেশ কিছু বলবোমা ও বোমা তৈরির উপকরণ।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বাড়ির কয়েক কিলোমিটারের মধ্যেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর মিলেছে। মৃতের নাম মুকলেস শেখ। মৃত ও আহতদের বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার ঘেরা ভগবানপুর।
আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কালিয়াচক এক ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি মিজানুর রহমান মিয়া বলেন, ‘বোমা বাঁধতে গিয়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই আহত ও মারা গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে কালিয়াচকে ইতিমধ্যেই আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছেন সাধারণ মানুষ। তারপরও এলাকায় সন্ত্রাস চালানোর জন্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই সমস্ত কার্যক্রম করছে। এই ঘটনায় পুলিশের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাই।’
দক্ষিণ মালদা BJP-র সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা এখনও অব্যাহত গোটা বাংলা জুড়ে। আমরা বলব ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে।বাংলার মানুষ তথা মালদার মানুষকে শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে দিন। তৃণমূল যেভাবে ভোটের আগে থেকে এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছিল ভোটের পরও যে সমস্ত এলাকায় তারা জিততে পারেনি সে সমস্ত এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আজকে কালিয়াচকে খাস চাঁদপুর এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় একজনের, কয়েকজন আহত হয়। মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বাড়ির দু-তিন কিলোমিটারের মধ্যে এই ঘটনাটি ঘটে। আমরা চাই এলাকায় শান্তি ফিরে আসুক সন্ত্রাস বোমাবাজি বন্ধ হোক।’
যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন মালদা জেলা পরিষদের ৩৮ নম্বর নম্বর আসনের সদস্য আব্দুল রহমান। তিনি বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। অপরাধ যেই করুক না কেন তাদের ক্ষমা করা যাবে না। পুলিশ এর বিরুদ্ধে তদন্ত করুক। উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আসলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা বাংলা তথা মালদায় বিরোধীদের পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। তাই তারা আমাদের দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। আর যে অভিযোগটি করছে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’