কৌস্তুভকে দেখেই সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা তাঁর উদ্দেশে একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দেন। তিনি টাকা নিয়েছেন কি না অথবা তাঁর সঙ্গে কোনও প্রভাবশালীর যোগ রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও করা হয়। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে ধৃত ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। আমি পিনকনের বিজ্ঞাপন চালিয়েছিলাম টেলিভিশন চ্যানেলে। অন্য বেশ কিছু চ্যানেলও চালিয়েছে। সেই সংক্রান্ত সব কাগজ দেখিয়েছি। কোনও ভুলভাবে আমি টাকা নিইনি। এর সঙ্গে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগ নেই।’
কৌস্তুভ আরও বলেন, ‘কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির নামে আমি কেন টাকা নিতে যাব। সবার সঙ্গেই সবার যোগাযোগ থাকে। আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। পিনকনের বিজ্ঞাপন নেওয়ার জন্যই আমাকে গ্রেফতার করা হল।’ মূলত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগেই কৌস্তুভকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির আগে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
কৌস্তুভ রায় শাসকদল তৃণমূলের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে দাবি অনেকের। শাসকদলের একাধিক নেতার সঙ্গেও বিভিন্ন সময় তাঁকে দেখা গিয়েছে। কৌস্তুভ বাড়ি ও অফিসে কয়েকমাস আগে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু সেই সময় কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তবে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়। ইডি সূত্রে খবর, সোমবার সকালেই তাঁকে সিজিও কম্পলেক্সে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু সকালে যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন ওই ব্যবসায়ী। বিকেলে ইডির সঙ্গে দেখা করার কথা জানান তিনি। বিকেলে ইডি দফতরে পৌঁছতেই তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপর রাত ১টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয়।
এর আগেও একবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন কৌস্তুভ। একই সঙ্গে চিরাগ কম্পিউটারের কর্ণধার শিবাজি পাঁজাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃত শিবাজি ও কৌস্তুভের বিরুদ্ধে ৫১৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ ছিল। এর পাশাপাশি বেশ কিছু নথি গোপন করার অভিযোগও ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। পরবর্তী সময়ে সেই মামলায় জামিন পান কৌস্তুভ।