রয়েছে CPIM পঞ্চায়েত প্রার্থীর ভোট, রয়েছে BJP-র গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট। স্থানীয়দের দাবি, শাসকদলের নেতাদের ভোটে জয়ী করবার জন্যেই এই কাজ করা হয়েছে। স্থানীয় এক BJP নেতা বলেছেন, ‘এই ঘটনা আমরা দলের জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। এটা সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনিক ব্যর্থতা। পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের মদতে তৃণমূল কর্মীরা এই কাণ্ড করেছে। তৃণমূলকে জেতানোর জন্য এই কাজ করা হয়েছে। মানুষ BJP কে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু চক্রান্ত করে এই ব্যালট পেপারগুলি বাইরে ফেলে দিয়ে তৃণমূলকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এটা ভোট হয়নি, ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে’।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘ব্যালট পেপার গুলিতে দেখলাম ছাপ মারা রয়েছে। যার বেশিরভাগেই BJP-র দলীয় চিহ্ন ছিল। কিছু বামেদেরও রয়েছে। মনে হচ্ছে তৃণমূলের প্রার্থীদের জয়ী করার জন্য এই কাজ করা হয়েছে’। এই বিষয়ে এক তৃণমূল নেতা বলেছেন, ‘ব্যালটের নমুনা প্রিন্ট করে BJP চক্রান্ত করছে আমাদের বিরুদ্ধে।
কেউ চুরি করলে নিশ্চয়ই তা রাস্তায় ফেলে দেবে না। BJP একটা নাটক তৈরি করার চেষ্টা করছে। এই সব করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করছে’। জায়গায় জায়গায় এরকম বৈধ ব্যালট পেপার উদ্ধার নিয়ে তিনদিন আগে ভোটকর্মীদের দিকেই আঙুল তুলেছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসার যদি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে রাজ্যের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে বিরোধী পক্ষের হাতে কিছু অব্যবহৃত ব্যালট তুলে দেন, এবং বিরোধীরা তা নিয়ে তাতে নিজেদের প্রতীকের ছাপ মেরে যদি তা কোর্টে জমা করেন, তবে তা তাৎক্ষণিকভাবে ধরা খুব মুশকিল’। তাঁর মতে, কিছু প্রিসাইডিং অফিসার অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে রাজ্যের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য বিরোধী পক্ষের হাতে কিছু অব্যবহৃত ব্যালট তুলে দিতে পারে।