জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেসে চেপে কলকাতায় আসছিলেন প্রচুর তৃণমূল কর্মী সমর্থক। ওই ট্রেনেরই যাত্রী ছিলেন সুচন্দ্রা সাহা নামে এক তরুণী। অভিযোগ, রিজার্ভেশন থাকা সত্ত্বেও ওই তরুণী-সহ কয়েকজন যাত্রীকে তাঁদের নির্দিষ্ট সিট থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। ফেলে দেওয়া হয় খাবারও। ঘটনায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একাংশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ সুচন্দ্রা সাহার। এমনকী সেই সময় সাহায্যের জন্য কোনও রেল পুলিশ কর্মী এগিয়ে আসেননি বলেও অভিযোগ।
এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুচন্দ্রা সাহা ও আরও কয়েকজন সহযাত্রী। তারা লাইনে নেমে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ট্রেনে যাত্রাকালে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কাপ্রকাশ করেন তাঁরা। এদিকে বিক্ষোভের জেরে নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়তে পারেনি রূপসী বাংলা এক্সপ্রেসও। এই পরিস্থিতে বিষয়টি মধ্যস্থতার জন্য এগিয়ে আসেন রেল পুলিশ কর্মীরা। এরপর আরও কিছু যাত্রীর অনুরোধে বিক্ষোভ তুলে নেন সুচন্দ্ররা। তারপরেই হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেন।
২১শে-র মঞ্চ কেমন?
এদিকে ইতিমধ্যেই প্রায় সম্পন্ন তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি। তৃণমূল সূত্রে খবর মূল মঞ্চকে এবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তার মধ্যে প্রথম ভাগের উচ্চতা ১০ ফুট, দৈর্ঘ্য ৫২ ফুট ও প্রস্থ ২৮ ফুট। প্রথম ভাগেই থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা। মঞ্চের দ্বিতীয় ভাগের দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট, প্রস্থ ২৮ ফুট ও উচ্চতা ১১ ফুট। এই স্তরে বসবেন দলের সাংসদ এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা। আর তৃতীয় ভাগের উচ্চতা করা হয়েছে ১২ ফুট, দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট ও প্রস্থ ২৮ ফুট। এখানে বসার কথা বিধায়ক ও অন্যান্যদের। এছাড়াও মূল মঞ্চের পাশে আরও একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, যার উচ্চতা ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট ও প্রস্থ ২৮ ফুট। এখানে বসবেন বিভিন্ন কাউন্সিলর ও আরও বেশকিছু বিশিষ্ট মানুষ। সব মিলিয়ে প্রায় ৬০০ জনের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।