ইতিমধ্যেই শহিদ সমাবেশে পৌঁছে গিয়েছেন লাখ লাখ তৃণমূল কর্মী সমর্থক। দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের তাবড় নেতা নেত্রীদেরও। আবার রাস্তাঘাটে বাড়তি ভিড়ের কারণে এখনও অনেকেই পর্যন্ত সভাস্থল পর্যন্ত পৌঁছতে পারেন। তারই মাঝে ২১-এর সভাস্থলে শুরু বৃষ্টি। কার্যত বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সভাস্থলে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। কারণ একটাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের এই প্রথম দলের সমাবেশ। সেক্ষেত্রে দলনেত্রী কী বার্তা দেন তা জানতে উদগ্রীব দলের কর্মী সমর্থকেরা। এদিকে ইতিমধ্যেই সভার উপস্থিত হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বৃষ্টি রোদ ঝড় জলকে উপেক্ষা করে মানুষ যে ভাবে এসেছেন, যতদূর চোখ যাচ্ছে শুধুই কালো মাথা। আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ভাবে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত মানুষ তৃণমূলকে সর্থকন করেছেন, মানষের পঞ্চায়েত গডেছেন তাতে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে মানুষ যাকে চেয়েছে তৃণমূল তাকে দাঁড় করিয়েছে। এবার কোনও নেতার কথায় প্রার্থীপদ দেয়নি। মানুষের কথায় প্রার্থী পদ দিয়েছে।’
এদিনের সভা থেকে আগামী লোকসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আগামীদিন দিল্লির বুকে সর্বাত্মক গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লি যাবেন তো? নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমাদের। আজকের ২১সে জুলাই দেখে ২০১০-এর ২১শে জুলাইয়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বাংলার ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে দিল্লির বিজেপির জনবিরোধী সরকার। আগামী ২ অক্টোবর গান্ধীজয়ন্তীতে দিল্লির চলোর ডাক তৃণমূল কংগ্রেস দিল।’ একই সঙ্গে আগামী ৫ অগাস্ট রাজ্যের সমস্ত ব্লকে বিজেপির ছোট থেকে বড় সব বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই ঘেরাও কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে করার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক।