মেট্রো রেল সূত্রে খবর, দুপুর তিনটের মধ্যেই মেট্রোর যাত্রী সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ সকাল সাতটা থেকে দুপুর তিনটের মধ্যে নিউ গড়িয়া-দমদম করিডরে মেট্রোয় সওয়ার হন রেকর্ড সংখ্যক যাত্রী।
মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান,’মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ করিডর অর্থাৎ ব্লু লাইনে একুশে জুলাই অর্থাৎ এদিন বিকেল তিনটের মধ্যে সওয়ার হন ৩ লাখ চার হাজার ৯২৮ জন। যা সপ্তাহের অন্যান্য দিনে এই সময়ের মধ্যে যত যাত্রী মেট্রোয় চাপেন এদিন তার থেকে ২৩ হাজার যাত্রী ওই একই সময়ের মধ্যে মেট্রোয় সফর করেছেন।’
রাজপথ রুদ্ধ হওয়ায় মেট্রোর উপর যে চাপ বাড়বে তা আগে থেকেই অনুমান করেছিলেন মেট্রো কর্তারা। তবে সমাবেশের ভিড় সামলাতে অধিক মেট্রো চালু না করা হলেও ধর্মতলা সংলগ্ন মেট্রো স্টেশনগুলিতে অতিরিক্ত কর্মী রাখা হয়েছিল এদিন। একইসঙ্গে খোলা হয়েছিল অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টারও।
মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ভিড় উপছে পড়ে মেট্রো স্টেশনগুলিতে। নির্ধারিত স্বল্প সময়ের ব্যবধানে মেট্রো চালানো হলেও ভিড় যেন আর হালকা হচ্ছিল না। এসপ্ল্যানেড, চাঁদনি চক, পার্ক স্ট্রিট ও ময়দানে সবথেকে বেশি যাত্রীদের চাপ ছিল বলে জানা গিয়েছে। মেট্রোর লাইন এদিন এদিন স্টেশনে সিঁড়ি ছাড়িয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল। নিত্যযাত্রী সুমন হাজরা প্রায় ৪৫ মিনিট লাইনে দাঁড়ানোর পর হাতে টোকেন পান। বলেন, ‘ আজ রাস্তা দিয়ে গেলে আর অফিস পৌঁছাব না। লেট মার্ক তো বাঁচাতে পারলাম না। অন্তত একদিনের মাইনেটা যাতে কাটা না যায় সেটা দেখি। ‘ শুধু সুমন হাজরাই নন, তাঁর মতো তিন লাখ শহরবাসী এদিন মেট্রোকেই ভরসাযোগ্য রুট হিসেবে বেছে নেন। এদিন যাত্রী চাপ বাড়তে পেরে এই আশঙ্কা থেকেই আগে থেকেই অতিরিক্ত টোকেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।