Kolkata Metro News: একুশে রুদ্ধ কলকাতা, মেট্রোয় নামল রেকর্ড ভিড়ের ঢল – tmc shahid diwas rally footfalls in kolkata metro crossed record mark till 3pm


TMC Shahid Diwas Metro Crowd: একুশে জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস উপলক্ষে জনসমুদ্র ধর্মতলা। লোকে লোকারণ্য শহরের প্রাণকেন্দ্র। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড়ের চাপে ও মিছিলের ধাক্কায় বন্ধ শহরের একাধিক রাস্তা। মধ্য কলকাতা এড়িয়ে চললেও বাকি রাস্তায় ট্রাফিকের চাপ ছিল অকল্পনীয়। এমন অবস্থায় শহরের রাস্তায় বেরনো শহরবাসীরা গন্তব্যে পৌঁছতে সবথেকে ভরসা যোগ্য মনে করেন মেট্রোকেই। ফলে শহরের লাইফ লাইন মেট্রোয় উপছে পড়ে ভিড়। একুশের শহিদ সমাবেশের ধাক্কায় এদিন যাত্রী সংখ্যায় রেকর্ড গড়ে মেট্রো।

মেট্রো রেল সূত্রে খবর, দুপুর তিনটের মধ্যেই মেট্রোর যাত্রী সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ সকাল সাতটা থেকে দুপুর তিনটের মধ্যে নিউ গড়িয়া-দমদম করিডরে মেট্রোয় সওয়ার হন রেকর্ড সংখ্যক যাত্রী।

TMC 21 July Shahid Diwas Live: একুশে রুদ্ধ শহর! কোন রাস্তা বন্ধ? কোন পথে যাবে গাড়ি, জেনে নিন আজকের ট্রাফিক আপডেট

মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান,’মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ করিডর অর্থাৎ ব্লু লাইনে একুশে জুলাই অর্থাৎ এদিন বিকেল তিনটের মধ্যে সওয়ার হন ৩ লাখ চার হাজার ৯২৮ জন। যা সপ্তাহের অন্যান্য দিনে এই সময়ের মধ্যে যত যাত্রী মেট্রোয় চাপেন এদিন তার থেকে ২৩ হাজার যাত্রী ওই একই সময়ের মধ্যে মেট্রোয় সফর করেছেন।’

Kolkata Airport Metro: বিমানবন্দর মেট্রো স্টেশনের কাজ সম্পূর্ণ, দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো করিডরের কাজ

রাজপথ রুদ্ধ হওয়ায় মেট্রোর উপর যে চাপ বাড়বে তা আগে থেকেই অনুমান করেছিলেন মেট্রো কর্তারা। তবে সমাবেশের ভিড় সামলাতে অধিক মেট্রো চালু না করা হলেও ধর্মতলা সংলগ্ন মেট্রো স্টেশনগুলিতে অতিরিক্ত কর্মী রাখা হয়েছিল এদিন। একইসঙ্গে খোলা হয়েছিল অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টারও।

Kolkata Metro: মাঝেরহাট মেট্রোয় চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ, পুজোর আগেই চালু হবে এই স্টেশন?

মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ভিড় উপছে পড়ে মেট্রো স্টেশনগুলিতে। নির্ধারিত স্বল্প সময়ের ব্যবধানে মেট্রো চালানো হলেও ভিড় যেন আর হালকা হচ্ছিল না। এসপ্ল্যানেড, চাঁদনি চক, পার্ক স্ট্রিট ও ময়দানে সবথেকে বেশি যাত্রীদের চাপ ছিল বলে জানা গিয়েছে। মেট্রোর লাইন এদিন এদিন স্টেশনে সিঁড়ি ছাড়িয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল। নিত্যযাত্রী সুমন হাজরা প্রায় ৪৫ মিনিট লাইনে দাঁড়ানোর পর হাতে টোকেন পান। বলেন, ‘ আজ রাস্তা দিয়ে গেলে আর অফিস পৌঁছাব না। লেট মার্ক তো বাঁচাতে পারলাম না। অন্তত একদিনের মাইনেটা যাতে কাটা না যায় সেটা দেখি। ‘ শুধু সুমন হাজরাই নন, তাঁর মতো তিন লাখ শহরবাসী এদিন মেট্রোকেই ভরসাযোগ্য রুট হিসেবে বেছে নেন। এদিন যাত্রী চাপ বাড়তে পেরে এই আশঙ্কা থেকেই আগে থেকেই অতিরিক্ত টোকেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *