সোমবার পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনে উঠে এল তৃণমূলের ভেতরের কোন্দল দলের অফিসিয়াল প্রার্থীকে ভোটাভুটিতে হারিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হলেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের মহিলা সদস্য হাজেরা সুলতানা। ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যপক শোরগোল পড়েছে সুতিতে।
এদিন সুতি-১ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ছিল। ১২-৬ ভোটে জয়ী হয়ে সুতি-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর হাজেরা সুলতানা। সোমবার পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সুতি-১ বিডিও অফিস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটাভুটিতে তৃণমূল কংগ্রেসেরই ঘোষিত সভাপতি পদপ্রার্থীকে হারিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপির সমর্থনে সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
এই কোন্দলকে ঘিরে কার্যত ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। জানা গিয়েছে, ১৮ আসন বিশিষ্ট সুতি-১ পঞ্চায়েত সমিতিতে এবারে ১২ টি আসনে জেতে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি বিজেপি পায় ৩টি এবং কংগ্রেস ৩টি আসনে জয়লাভ করে। সোমবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসাবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সেরাজুল ইসলামের স্ত্রী জোহরা বিবির নাম প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু তাতেই কার্যত আপত্তি করেন তৃণমূলেরই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর চার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ক্ষুব্ধ হয়ে সভাকক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে বিরোধী বিজেপি ও কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে মিশে যান বিক্ষুব্ধ তৃণমূল গোষ্ঠী।
চার বিক্ষুব্ধ এবং কংগ্রেস-বিজেপির ছয় সদস্য যৌথভাবে তৃণমূলের মধ্য থেকেই হাজেরা সুলতানার নাম প্রস্তাব করেন সভাপতি হিসেবে। ভোটাভুটির সময় সেই দশজনের সঙ্গে যোগ দেন আরও দুজন তৃণমূলেরই সদস্য। ফলে ১২-৬ ভোটে তৃণমূলেরই প্রার্থীকে হারিয়ে সুতি- ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন তৃণমূল কংগ্রেসেরই হাজেরা বিবি। দলের প্রার্থীকে হারিয়ে দলেরই অন্য গোষ্ঠীর সভাপতি ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয় সুতি-১ ব্লকে। যদিও সহ সভাপতি হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন জিয়ারত আলী। তবে দলের অন্দরের কোন্দল বেআব্রু হওয়ায় অস্বস্তিতে শাসক দল।