সূত্রের খবর, পুলিশি জিজ্ঞাসবাদের মুখে হস্টেলের দায়িত্বে থাকা রাঁধুনি জুনিয়রদের উপর সিনিয়রদের র্যাগিংয়ের কথা এক প্রকার স্বীকার করেছে নিয়েছেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন হস্টেলে জুনিয়রদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত সিনিয়ররা। আদালতে রাঁধুনির বয়ান রিপোর্ট আকারে জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর।
এর পাশাপাশি আরও এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন রাঁধুনি। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের রাঁধুনি জানিয়েছেন, আবাসিক জুনিয়দের সঙ্গে চাকরের মতো আচরণ করত জুনিয়ররা। তাঁদের বিভিন্ন কাজও করতে বলা হত। সিনিয়রদের কথা না শুনলে জুনিয়রদের হস্টেলের বারান্দার রেলিংয়ের উপর দিয়ে হাঁটতে বাধ্য করা হত।
প্রসঙ্গত, যাদবপুরের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসির একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছেছে। হস্টেলের পড়ুয়াদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন বলে জানা গিয়েছে। ইউজিসির তরফে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বুধবারের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
অন্যদিকে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় তৎপর পুলিশও। এদিন যাদবপুর তানা সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয় হস্টেলে যায় পুলিশ। কলকাতা পুলিশের ডিসি এসএসডি বিদিশ কালিতার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় হস্টেলে পৌঁছয়। ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য পুলিশ সেখানে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। একই সঙ্গে সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল (Kolkata Police Commissioner Vineet Goyal) আগেই জানিয়েছিলেন পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনা তদন্ত দ্রুত শেষ করার জন্য পুলিশের তরফে সব পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও অবধি গ্রেফতারির সংখ্যা তিন। ধৃতদের মধ্যে এক প্রাক্তন ছাত্র ও দুই পড়ুয়া রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ছয় পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন আরও এক প্রাক্তনী। তদন্ত কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।