পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, যাঁদের এই ঘটনার সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক নেই, এমনকী যাঁরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তাঁদেরও অনেক ক্ষেত্রে হুমকি ও ট্রোলিংয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যার জেরে বাড়ছে বিড়ম্বনা। যার প্রেক্ষিতে গণপিটিশনে সাক্ষর করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে পাঠিয়েছেন পড়ুয়ারা। এই বিষয়ে এমএ-র এক ছাত্রীর অভিযোগ, একটি সোশ্যাল মিডিয়া পেজ লাগাতার তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করছে। অনুমতি ছাড়াই তাঁর ছবি একটি মিমে ব্যবহার করা হয়েছে। ছাত্রীর আরও অভিযোগ, তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং অশ্লীল মেসেজ করা হচ্ছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন তিনি। পিটিশনে অনেক পড়ুয়াই সাক্ষর করেছেন। তাঁদের মধ্যে এমনও একজন রয়েছেন, যাঁকে সম্প্রতি শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছিল ও যার প্রেক্ষিতে তিনি পুলিশের দ্বারস্থও হন।
গণপিটিশনে সাক্ষর করা পড়িয়ারা জানাচ্ছেন, ওই ঘটনার পর তাঁদের পরিচিত, প্রতিবেশী এমনকী বন্ধুদের থেকেও কটাক্ষ এবং অপ্রীতিকর প্রশ্ন শুনতে হচ্ছে। এক পড়ুয়া জানাচ্ছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে তাঁকে যে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তা হল, ক্যাম্পাস ও ডিপার্টমেন্টে ব়্যাগিং সাধারণ বিষয় কি না? তিনি আরও বলেন, মানুষ সবাইকে একরমক ধরে নিচ্ছেন এবং মনে করছেন সবাই এই ধরণের কাজে যুক্ত। এটা শুধু পড়ুয়াদের জন্য নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও খারাপ বলে মনে করছেন ওই পড়ুয়া। আর শুধু এখানেই শেষ নয়, পড়ুয়াদের বাবা-মায়েদেরও বিভিন্ন ধরণের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
অপর এক পড়ুয়া বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের মানুষদের এটা বোঝানও খুবই মুশকিল হচ্ছে যে এখানকার বেশিরভাগ মানুষই ভাল এবং তাঁরা অপরকে সাহায্য করেন। তাঁর মতে যাদবপুরে সমসময়ই মুক্ত চিন্তাধারা বিরাজ করে। কিন্তু এখন সেই মুক্তচিন্তাধারাকেই নিশানা করা হচ্ছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক। ব়্যাগিংয়ে কিছু মানুষ যুক্ত, আর তার জন্য সবাইকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এককথায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমতো বিড়ম্বনায় যাদবপুরের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।