স্কুলের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার
পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার দিন দুপুরের দিক থেকে ওই নাবালিকাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। দেখতে না পেয়ে খোঁজখবর শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও নাবালিকার কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। এরপর কাঁচালিটোলা প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে অচৈতন্য ও রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া ওই নাবালিকাকে পাওয়া যায় বলে দাবি পরিবারের।
উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ওই নাবালিকাকে। পাশাপাশি পুলিশের দ্বারস্থও হয় পরিবার। ঘটনায় ৩ জন জড়িত বলে ইশারায় জানিয়েছে ওই নাবালিকাকে। তবে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে কারও নাম উঠে আসেনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পশাপাশি নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ওই স্কুলে এর আগেও বিভিন্ন ধরণের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার নিন্দায় মন্ত্রী
এদিকে এই ঘটনায় এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমরা সবসময় এই ধরণের ঘটনার নিন্দা করি। যারা এই ধরণের কাজ করে, তারা বিকৃত মস্তিষ্কের। তাদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হোক। আমি একজন মহিলা, আমিও চাই প্রতিটি ঘরের মেয়েরা সুরক্ষিত থাকুক। এটা সামাজিক একটা ব্যাধিতে পরিণত হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনকে বলা হয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসেও মালদায় এই ধরণেরই একটি অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় গাজোলের একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষেই এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। ঘটনার তদন্তে নেমে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ ওঠে, গাজোলের একটি স্কুলের দোতলার ঘরে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে স্থানীয় তিন যুবক। এরপর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়তেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। নির্যাতিতার পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তিন যুবককে। তারপর কয়েক মাসের ব্যবধানে এই ঘটনায়, ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলাজুড়ে।