জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যাদবপুরের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি পোস্ট কার্ড পাঠানোর ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত। ধৃতের নাম রানা রায়। ভুবনেশ্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের একটি দল। তাঁর বিরুদ্ধে আরও একাধিক প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে।
লালবাজার সূত্রে খবর, অভিযুক্ত প্রফেসর রানা রায় বহু মহিলাকে এর আগে প্রতারণা করেছেন। উত্যক্ত করেছেন। অশ্লীল ভাষায় হুমকি চিঠি দিয়েছেন। হুমকি পোস্ট কার্ডের ঘটনায় যেমন যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু, তেমনই বেলগাছিয়ার বাসিন্দা এক মহিলা রানা রায়ের বিরুদ্ধে তাঁকে স্টক করার অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ২০১৯ সাল থেকে লাগাতার তাঁকে উত্যক্ত করে চলেছেন অভিযুক্ত। এমনকি তাঁর শ্লীলতাহানিও করেছেন। টালা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তাঁর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিস। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারির পর ধৃতকে টালা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজ তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। ওদিকে তাঁর বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় দায়ের হওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতেও তদন্ত চলছে। এছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ভেন্ডার ও গরিব মানুষদের প্রতারণা করার অভিযোগও রয়েছে। তিনি নিজেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গ্রুপ-এ অফিসার বলে দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, ‘সৌরভ চৌধুরীর কিছু হলে এক দানাই যথেষ্ট’। হুমকি পোস্ট কার্ড পান যাদবপুরের রেজিস্ট্রার-সহ রেজিস্ট্রার। প্রফেসর রানা রায়ের নাম করেই আসে উড়ো চিঠি। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হুমকি পোস্ট কার্ডের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়ের হয় যাদবপুর থানায়। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ও সহ রেজিস্ট্রারের কাছে পৌঁছয় এই হুমকি পোস্ট কার্ড। যেখানে স্পষ্ট বলা হয় যে, সৌরভ চৌধুরীর কিছু হলে একটা দানা-ই যথেষ্ট। যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে Ragging-এর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, টার্গেট করে ওই পড়ুয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। সৌরভ চৌধুরীর নেতৃত্বে এই নির্যাতন করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে খুন, সম্মিলিত ষড়যন্ত্র ও Ragging অ্যাক্টে মামলা রুজু হয়েছে।
এদিকে হুমকির জেরে যাদবপুরের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর সামনে আসে! যদিও তা অস্বীকার করেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। তিনি দাবি করেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখন একটা খুবই টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। রোজই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম আসছে। এই পরিস্থিতিতে ইস্তফা দেওয়ার কোনও প্রশ্ন-ই ওঠে না।