‘শুধু পুজো নয়, সামাজিক দায়িত্ব’
এই বিষয়ে ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেন, ‘শুধু ব়্যাগিং নয়, আমরা সমাজের বিভিন্ন বিষয়েই বলি, কোনটা করা উচিত, কোনটা করা উচিত নয়। আমরা শুধু পুজো করি না। পুজোর সঙ্গে আমাদের আরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। পুজোয় প্রচুর মানুষ আসেন। পুজো এমনকটা ক্ষেত্র, যেখানে একসঙ্গে প্রচুর মানুষকে পাওয়া যায়।’ এক্ষেত্রে কি রাজ্য সরকারই বিজ্ঞাপণে আকারে এই প্রচার অভিযান চালাবে? উত্তরে শাশ্বতবাবু বলেন, ‘সরকার যদি বিজ্ঞাপণ দেয়, সেটা আলাদা বিষয়। আমরা আমাদের মতো করে সচেতনতার প্রচার করব।’ প্রসঙ্গত এর আগে ডেঙ্গি নিয়েও প্রচার চালিয়েছিল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব।
যা বলছে পুজো কমিটিগুলি
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সহমত হয়েছে বেশকিছু পুজো কমিটি। কাশী বোস লেন দুর্গাপুজো সমিতি, এই বছর নিজেদের থিম নিয়ে খোলসা করে কিছু না বললেও, ব়্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে আগ্রহী। এই প্রসঙ্গে কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা সৌমেন ঘোষ জানান, তাঁদের পুজো প্রাঙ্গণে এই সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যানারের পাশাপাশি ব়্যাগিং বিরোধী একটি পৃথক কিয়স্কও থাকবে।
লেক ভিউ রোডের সমাজ সেবী সংঘ ব়্যাগিং বিরোধী বার্তার পাশাপাশি আলাদা কিয়স্ক ও অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশান রাখারও পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি মহিলাদের ওপরে অ্যাসিড হামলার বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা করছেন কমিটির উদ্যোক্তারা। এই প্রসঙ্গে কমিটির তরফে অরিজিৎ মৈত্র জানান, ব়্যাগিং ইস্যুতে তাঁদের মণ্ডপ প্রাঙ্গণে পৃথক কিয়স্ক থাকবে। প্রচার অভিযানে বেশি করে ব়্যাগিং সংক্রান্ত হেল্পলাইনটি তুলে ধরা হবে। এছাড়া ব়্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালে, অভিযোগকরীর নাম যে প্রকাশ্যে আসবে না, সেটিও বেশি করে প্রচার করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে মুদিয়ালি ক্লাবের অন্যতম আয়োজন অশোক দে-এর মতে, শুধু ব়্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলাই নয়, এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বিষয়েও মানুষকে বোঝাতে হবে। এটা প্রত্যেকের সামাজিক দায়িত্ব বলেই মনে করেন তিনি। প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর পরেই নতুন করে ব়্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হতে শুরু করেছে বিভিন্নমহল।