যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ক্যামেরার জন্য অর্থ দিল রাজ্য সরকার। যাদবপুরের রেজিস্ট্রারকে রাজ্যের তরফে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোট ৩৭ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৮৪ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। চিঠিতে বলা হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ক্যাম্পাস গেট, হোস্টেল গেট, সল্টলেক ক্যাম্পাস গেটে সিসিটিভি নজরদারির জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। যাদবপুরে সিসিটিভি বসানোর দায়িত্বে রয়েছে ওয়েবল।

প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিগত বেশকিছুদিন ধরেই সরগরম রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যের শিক্ষামহলে। ঘটনায় ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠে আছে। ব়্যাগিংয়ের জেরেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই বেশকয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না,সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে টাকা দিল রাজ্য

Jadavpur University News : ঘেরাওয়ের পর থেকে CCTV-হীন ক্যাম্পাস! UGC-কে তথ্য দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভির নজরদারি নেই কেন, সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয় বিভিন্নমহল। এমনকী বিষয়টিতে সক্রিয় হয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনও। কেন সিসিটিভি নেই, সেই প্রশ্ন ওঠে ইউজিসি-র পক্ষ থেকেই। সিসিটিভি লাগানো থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা-সহ বহু ক্ষেত্রেই হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট এমনকী ইউজিসির গাইড লাইন মানছে না যাদবপুর, এই অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় মঞ্জুরী কমিশন। সেই চিঠির জবাব দেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই সময় রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু দাবি করেন, তাঁদের উত্তরে সন্তুষ্ট হয়েছে ইউজিসি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারপরেই দেখা যায়, ফের একবার যাদবপুরকে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী। আগের উত্তরে যে তারা সন্তুষ্ট নয়, সেই কথাও জানানো হয় ওই চিঠিতে। এর সবের মাঝে শোনা যাচ্ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে টিম পাঠাতে পারে ইউজিসি। শেষ পর্যন্ত কয়েকদিন আগে সেই দলই উপস্থিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।

Jadavpur University : বাধা দেওয়া হচ্ছে কাজে: ৩ সপ্তাহেই সরব উপাচার্য, যাদবপুরে নিশানায় কিছু ছাত্র-শিক্ষক
এদিকে সিসিটিভি ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। যদিও সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ যাদবপুরে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। এর আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি যেই দিন যোগ দিয়েছি তার ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে অর্ডার পাঠিয়ে দিয়েছি ওয়েবেলকে। প্রাথমিকভাবে আমাদের যে সিসিটিভি লাগাতে হবে, যেটা বাধ্যতামূলক, সেটা ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করলেও বন্ধ করা যাবে না, সেই টুকু করতেই হবে। সব গেটগুলিতে বসবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version