অনামিকার অভিযোগ কী?
মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর জায়গায় চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা রায় নামে এসএসসি চাকরিপ্রার্থী। পরে আরেক এসএসসি পরীক্ষার্থী অনামিকা রায়ের আবেদনের ভিত্তিতে জানা যায়, মেধা তালিকা অনুযায়ী ওই চাকরি পাওয়ার কথা তাঁর। এরপরেই হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন অনামিকা রায়ের নিয়োগের ব্যাপারে। গত ১৬ মে তিন সপ্তাহের তাঁকে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কেন এত দেরি?
অনামিকার অভিযোগ, তিন সপ্তাহ তো দূরের কথা প্রায় চার মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি এখনও নিয়োগ হতে পারেননি। জুলাই মাসে তিনি কোন স্কুলে নিয়োগ হতে পারেন সেটা জানান হয়। এরপর তার মেডিক্যাল টেস্ট হয়। পাশাপাশি, তাঁর পুলিশ ভেরিফিকেশন জন্য কল আসে। সেই সংক্রান্ত নথি পেশ করেন অনামিকা। তবে আদালতে, পর্ষদ জানায়, পুলিশ ভেরিফিকেশন কিছু সমস্যা থাকার কারণেই চাকরিতে নিয়োগ হতে দেরি হয়েছ
বিচারপতির কড়া নির্দেশ
বিষয়টি জানার পরেই পর্ষদকে কড়া নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট কাছে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি। মঙ্গবার দুপুর বারোটার মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়। এরপরেই সোমবার রাতেই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এসএসসি। সেই বিজ্ঞপ্তিতে অনামিকা রায় সহ আরও কয়েকজনকে নিয়োগের ব্যাপারে জানানো হয়। বিচারপতির কড়া নির্দেশের পরেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় পর্ষদ বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নথি নিয়ে দেখা করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে জানায় এসএসসি।
চাকরি নিয়ে টানটানি
মন্ত্রী জন্য অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরির জায়গায় শিলিগুড়ির ববিতা সরকার তাঁর চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। যা নিয়ে তুমুল আলোড়ন পড়ে হয় রাজ্য জুড়ে। ববিতা রায়কে ওই পদে নিয়োগের জন্য নির্দেশ দেয় কোর্ট। এরপরেই একই শহরের আরেক চাকরিপ্রার্থী তথ্য সহকারে জানান, ওই পদে চাকরি পাওয়ার কথা তাঁর। ববিতার ছয় মাসের বেতন সহ প্রাপ্ত অর্থ ফেরতের ব্যাপারে আদালতের নির্দিষ্ট নির্দেশ ছিল। এরপরেই অনামিকা রায়কে ওই পদে নিয়োগ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।