কী জানালেন চন্দ্রিমা?
মঙ্গলবার নিমতা মাজেরহাটিতে নিমতা জোনাকি সমাজসেবী সংস্থার কালীপুজোর খুঁটি পুজো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেই অনুষ্ঠানে এসে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস হওয়া নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেসের টানাটানি নিয়ে মন্তব্য প্রকাশ করেন তিনি। চন্দ্রিমা বলেন, ‘মহিলা ভোটব্যাঙ্ক ধরার জন্য উৎসাহী হয়ে পড়েছে কেন্দ্রের সরকার। এসব বলে লাভ হবে না ওতে ভোট ব্যাংক ধরা যাবে না। মহিলা সংরক্ষণের জন্য আমাদের নেত্রী কমিটিতে ছিলেন।’
পঞ্চায়েত স্তরে মহিলা সংরক্ষণ
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এদিন দাবি করেন, আমাদের এখানে এখতিয়ারে যে আইন পঞ্চায়েত আইন তা ২০১২ সালে পাল্টে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখনও কিন্তু ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ হয়নি। তা সত্বেও আমাদের দল মহিলাদের সংরক্ষণ ৩৩ শতাংশের অনেক বেশি দেয়। সেটা বিধানসভা নির্বাচন হোক বা সাংসদ নির্বাচন। এখনও যদি দেখেন পরিষদগুলিতে ৫০ শতাংশ জেলা সভাধিপতি হচ্ছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাধিপতি হচ্ছে মেয়েরা। কলকাতা কর্পোরেশনের দেখুন ১৬ টার মধ্যে ১০টা বোরো চেয়ারম্যান হচ্ছে মহিলারা। এদের অগ্রধিকার দিতে হবে এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এর পুরোধা হচ্ছেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংসদ ভবনের নতুন নাম
নতুন সংসদ ভবনের ইন্ডিয়া নাম নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইন্ডিয়া তো ইন্ডিয়াই। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ভারতবর্ষের সংবিধানের বলা আছে ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত। নাম ওইভাবে পরিবর্তন করে কোন মাহাত্ম্য পাওয়া যাবে না। ইন্ডিয়াতে তো ফিরতেই হবে, না হলে সবকিছুর নাম কিভাবে পাল্টাবে। তাঁর কটাক্ষ, আইপিএলটা তাহলে বিপিএল করে দিতে হবে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কী হবে? রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া কী হবে? এই যে ইসরো কি হবে তাহলে বিসরো হয়ে যাবে।
মহিলা সংরক্ষণ বিল
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার লোকসভার বিশেষ অধিবেশনে মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করে মোদী সরকার। নতুন সংসদ ভবনে এদিন মহিলা সংরক্ষণ বিলটি পেশ করলেন আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। যদিও বিল নিয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও বিরোধিতা বিরোধীদের তরফে হয়নি। তবে কংগ্রেসের দাবি, এই বিল তাঁদের আমলে আনা হয়েছিল।