নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। এই পরিস্থিতিতে তাঁর বিপত্তি বাড়িয়েছিলেন ছাত্ররাই। মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, অধ্যক্ষ হওয়ার যোগ্যতা থাকা না সত্ত্বেও তিনি আইন কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।

বৃহস্পতিবার মামলাটি উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। মানিক কী ভাবে যোগ্যতা ছাড়া আইন কলেজের অধ্যক্ষ হন? এই অভিযোগ উঠেছিল। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, “যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝোলাতে হবে। কোনও ভাবে যাতে সমস্যা তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে চারু মার্কেট থানাকে।”

Abhishek Banerjee News : বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক
পাশাপাশি কলকাতা পুলিশকে একটি রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেখানে জানাতে হবে ২০১৮ ও ২০২৩ সালের এই সংক্রান্ত দুটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। অধ্যক্ষ সুনন্দা গোয়েঙ্কা এবং অচিনা কুন্ডু এদিন থেকে আর কলেজে প্রবেশ করতে পারবেন না। অচিনা কুন্ডু আগাম অবসরের জন্য আবেদন করে একটি মামলা করেছেন হাইকোর্টে। সেই মামলাও এই মামলার সঙ্গে শুনবে এই আদালত।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সাল থেকে যোগেশচন্দ্ৰ চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন মানিক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কোনও ব্যক্তির ল কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য তাঁর কমপক্ষে ১৫ বছরের অধ্যাপনার একটি অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। কিন্তু, মানিক ভট্টাচার্যের তা ছিল না, অভিযোগ ওঠে এমনটাই। সেক্ষেত্রে কী ভাবে তিনি বেতন নিয়েছেন, সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন মামলাকারীরা।

Abhishek Banerjee ED : স্ত্রীয়ের পর স্বামীকেও ডাক! অভিষেককে ফের তলব ED-র
বৃহস্পতিবার মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ওঠে। আর সেখানেই এই মামলার প্রেক্ষিতে উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে ED এবং CBI। আর প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। এই মামলার তদন্তে নেমে তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।

Delhi Excise Policy Scam : ‘আবগারি দুর্নীতিতে কেন আপ অভিযুক্ত নয়?’ ব্যাখ্যা সুপ্রিম কোর্টের
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী। আপাতত তিনি জামিনে মুক্ত। এদিকে এই মামলাটির জন্য প্রায় এক বছর হল গ্রেফতার হয়েছে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি। জামিন পাননি তিনি। কয়েকবার জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়। এরই মধ্যে এই নয়া মামলায় অস্বস্তিতে পড়েছেন তিনি, তা বলাই যায়।

রাজ্যের সব খবরের জন্য ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version