সুমন উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর বিষ্ণুপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। পাশ করার কিছু দিনের মধ্যেই ওড়িশার একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পান। মাস ছয়েক আগে সিকিমের লাচেনে একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার কাজে যোগ দেয় সুমন। পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁর। মঙ্গলবার সন্ধেবেলা প্রবল বৃষ্টির কথা বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে সুমনের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ ছিল না পরিবারের। অবশেষে আজ দুপুর নাগাদ ফোন করে সুমন। পরিবার কিছুটা দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত।
অন্যদিকে সিকিম বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ শিশু মহিলা সহ বীরভূমের ১০ জন।এরা প্রত্যেকে ১ অক্টোবর সিকিমের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। ৩ অক্টোবর অবধি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল পরিবারের। আর তারপর থেকেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে সবার। স্বাভাবিকভাবেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নিখোঁজ হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ইলামবাজার ও নানুরের দুই পরিবারের। নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন মীর নওয়াজ শরিফ, হাসিবা খাতুন, মহম্মদ মহফুজ রহমান, সোহান রাজভি, রেহা তানভি, রায়সা জাহান, রায়সা জাহান, এসথাউদ্দিন শেখ, নাজিয়া খাতুন, মুজাফফর আহমেদ, রেবিকা মণ্ডল।
অন্যদিকে তিস্তার ধ্বংসলীলায় নিখোঁজ পর্যটকদের মধ্যে রয়েছেন মালদার রতুয়া থানা পাড়ার বাসিন্দা সুশান্ত সাহা। তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মরত সুশান্ত তাঁর তিন বন্ধুর সঙ্গে সিকিমে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ১ তারিখ শিলিগুড়ি থেকে বাইকে করে সিকিমের গুরুদোংমার লেকের পথে পাড়ি দেন সুশান্তরা। অন্য দুজনের বাড়ি শিলিগুড়ি এবং বিহারে। ৩ তারিখ বিকেলে শেষ যোগাযোগ হয়েছিল পরিবারের সঙ্গে। তারপর থেকেই আর কোনওভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। চিন্তায় ঘুম উড়েছে সুশান্ত বাবা, মা ও দাদার। সংবাদমাধ্যমে সিকিমের ভয়াবহ ছবি দেখে ঘাবড়ে উঠেছে পরিবারের সকলে।
সিকিমে ভয়াবহ ধসের কারণে নিখোঁজ বহু পর্যটক ও সেনাকর্মী। এই মুহূর্তে সিকিমে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু করেছে পুলিশ, সেনা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা। নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে পুলিশ কুকুর নামনো হয়েছে। কবে সিকিমের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় সেটাই এখন দেখার।
জয়েন করুন এই সময় ডিজিটাল। রইল লিঙ্ক : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A