বহু পর্যটক বুকিং বাতিল করেছেন। ১৯ অক্টোবর জাতীয় সড়ক খুলে দেওয়া হলে অন্ততপক্ষে ক্ষতি কিছুটা হলেও সামাল দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। গত ৪ অক্টোবর সিকিমে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে সেবক করোনেশন সেতু থেকে বাংলা-সিকিম সীমানার রংপো পর্যন্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কালিম্পংয়ের কাছে গেইলখোলায় কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় জাতীয় সড়ক।
২৯ মাইল, ২৭ মাইল এবং কালীঝোরায় জাতীয় সড়কের একাংশ তিস্তার ভাঙনে তলিয়ে যায়। ফলে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে কালিম্পং কিংবা সিকিম যাওয়া পর্যটক তো বটেই, স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষেও অসাধ্য হয়ে পড়ে। এত দিন লাভা হয়ে কালিম্পং এবং সিকিমে যাওয়ার সংকীর্ণ রাস্তাই বাড়তি ভাড়া দিয়ে ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছিলেন সকলে।
এ দিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পরেই পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে দ্রুত রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু করা হয়। এমনকী, গেইলখোলা মেরামতির জন্য জাতীয় সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমকে নামানো হয়। গেইলখোলা, ২৭ মাইল এবং ২৯ মাইলে পাহাড় কেটে রাস্তা চওড়া করা হয়। সোমবারের মধ্যে রাস্তা মেরামতির কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে।
এখন রাস্তায় ছোট গাড়ি চালিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর পর পূর্ত দফতরের সড়ক বিশেষজ্ঞরা অনুমতি দিলেই ১৯ অক্টোবর থেকে যান চলাচল শুরু হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক বিভাগের নয় নম্বর ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র সুবোধ ছেত্রী বলেন, ‘রাস্তা তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। ছোট গাড়ি চালিয়ে রাস্তার ভার বহনের সক্ষমতা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে যান চলাচলের অনুমতি এখনও আসেনি। ১৯ অক্টোবর যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে শুনেছি।’
তবে আপাতত ওই সড়কে কেবলমাত্র ছোট যান চলাচলের অনুমতিই মিলবে। মালবাহী গাড়ি অন্য রুট দিয়ে চালানো হবে যতক্ষণ না জাতীয় সড়ক ভারী যান চলাচলের মতো উপযুক্ত হয়। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘১৯ অক্টোবর থেকে ছোট গাড়ি চলাচলের অনুমতি মিললে অন্তত পর্যটকেরা সিকিম এবং কালিম্পংয়ে জাতীয় সড়ক হয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। তাতে কিছুটা হলেও হোটেল মালিক ও হোম স্টে মালিকেরা ক্ষতি সামাল দিতে পারবেন বলে আশা করছি। যাতায়াত ভাড়াও তুলনামূলক ভাবে কম পড়বে।’