পুজোয় কোন কোন জেলায় বৃষ্টি?
এই মুহূর্তে ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে রাজস্থান এবং পূর্ব বাংলাদেশে। পুজোর মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগর এলাকাতে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণাবর্ত। উত্তর পশ্চিম দিকে এই ঘূর্ণাবর্তটি এগিয়ে যাচ্ছে।
নবমী থেকে নিম্নচাপের প্রভাব পড়তে চলেছে দক্ষিণবঙ্গেও। সোম এবং মঙ্গলবার নবমী ও দশমীর দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বেশ কিছু জেলায়। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর। নবমীর রাতের দিকে এবং দশমীতে রেইনি ডের মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উপকূল এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
তবে অষ্টমীর দিন রবিবার পর্যন্ত পরিষ্কার থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া। নবমীর দিন থেকে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা।
একনজরে পুজোর কদিন কলকাতার আবহাওয়া?
পুজোয় আপাতত দুই দিন নিশ্চিত। গরমও খুব বেশি থাকবে না। এই পরিস্থিতিতে অষ্টমী পর্যন্ত শহরে শান্তিতে পুজো দেখা যাবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৩ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৯ শতাংশ।
একনজরে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার পরিস্থিতি
এদিকে ধীরে ধীরে উন্নতি হবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ারও। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে। তবে ধীরে ধীরে সেখানে বৃষ্টিপাত কমবে। ষষ্ঠী থেকে পুজোর দিনগুলিতে উত্তরবঙ্গের আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে। সেখানে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা সেভাবে নেই।
রাজ্যে কবে থাবা বসাবে শীত?
এই বছর জমাটি শীতের প্রত্যাশা করছেন সাধারণ মানুষ। তবে শীত পড়বে, সেই দিকে তাকিয়ে তাঁরা। জানা যাচ্ছে, ধীরে ধীরে রাজ্যে বদল হবে আবহাওয়ার। উত্তুরে হাওয়া ক্রমশ প্রভাব বিস্তার করতে চলেছে। কমবে তাপমাত্রার পারদ।