রাজ্য পুলিশের একটি সূত্রে খবর, এর আগেও বিষয়টি নিয়ে নবান্নের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নতুন করে আবার মঙ্গলবার প্রস্তাব পাঠানো হল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের তরফে। রাজ্যে এখন মহিলা থানার সংখ্যা প্রায় ৪০টি। মহিলাঘটিত অপকর্ম ঠেকাতে প্রতি মহকুমায় একটি করে হলেও মহিলা থানা বানানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা
রাজ্যে প্রথম মহিলা থানা তৈরি হয় ২০১২ সালে। পুলিশের এক কর্তা বলছিলেন, ‘আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে প্রথম মহিলা থানা হয়।’ পরে কয়েক দফায় আরও মহিলা থানা গড়া হলেও বাহিনীতে মহিলা পুলিশকর্মীর সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। মহিলা থানা বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই আরও বেশি করে নানান পদের পুলিশ কর্মীদের প্রয়োজন হবে।
রাজ্য পুলিশের সূত্রে খবর, নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি মহিলা থানায় এক জন ইনস্পেক্টর, ছয় থেকে সাত জন সাব-ইনস্পেক্টর (SI), আট জন এএসআই (ASI) এবং ২০ জন কনস্টেবল থাকার কথা। অফিসার ইন চার্জ হলে সাব ইন্সপেক্টর, আইসি থানা হলে ইন্সপেক্টর ইন চার্জ থাকেন। বাস্তব চিত্র বলছে, তিন জন SI থাকেন, পাঁচজন ASI থাকেন, ১০ জন লেডি কনস্টেবল থাকেন। প্রতিটি মহিলা থানায় হাতে গোনা অফিসার এবং কর্মী আছেন। তাই নতুন থানা তৈরি করলে দরকার হবে আরও মহিলা পুলিশকর্মীর। ফলে কর্মসংস্থানের সুবিধা হবে। তবে ধাপে ধাপে হলেও রাজ্যে পুলিশের নানা পদে নিয়োগ হচ্ছে।

নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশিকা।
দেশে প্রথম মহিলা থানা তৈরি হয়েছিল ১৯৭৩ সালে কেরালার কোঝিকোড়ে। ইন্দিরা গান্ধী সেই থানার উদ্বোধন করেন। গত কয়েক দশকে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধে রাশ টানতে এবং মহিলারা যাতে তাঁদের বক্তব্য দ্বিধাহীন ভাবে জানাতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে মহিলা থানার সংখ্যা বাড়তে থাকে।