কী নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট?
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে উঠেছিল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাগুলি। তা কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আগামী দুই মাসের মধ্যে CBI-কে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি মামলা শেষ করার জন্য দেওয়া হয়েছিল ছয় মাস সময়।
বৃহস্পতিবারই আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ি বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তিনি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট আগামী ছয় মাসের মধ্যে এসএসসি নিয়োগ মামলার শুনানি শেষ করার জন্য স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে। সেক্ষেত্রে দ্রুত বেঞ্চ গঠনের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। সমস্ত দিক খতিয়ে পদক্ষেপ করার কথা বলেছিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। সুপ্রিম কোর্টের মোতাবেক নতুন বেঞ্চে গেল এই মামলা।
স্বস্তিতে চাকরিহারারা!
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সাময়িকভাবে স্বস্তি পেয়েছেন চাকরিহারারা। তাঁদের আরও ছয় মাস সময় দেয় সর্বোচ্চ আদালত। যতদিন না পর্যন্ত মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে সেই সময় পর্যন্ত কারও চাকরি যাবে না, আশ্বাস দিয়েছিলেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ। এখন কলকাতা হাইকোর্ট মামলার প্রেক্ষিতে ঠিক কী নির্দেশ দেয়, সেই দিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্য।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ও তদন্ত
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। এই মামলায় ED গ্রেফতার করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এছাড়াও গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন আরও অনেকেই। এদিকে মামলার গতি নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন ওঠে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা কোন দিকে গড়ায়, এখন সেই দিকেই নজর।