মালদার ইংলিশ বাজার ব্লকের সাতটারি গ্রামের নতুন চৌধুরীপাড়ার খাটিয়াকানা এলাকার বাসিন্দা বাবলু চৌধুরী। কোটিপতি হওয়ার জন্য মাঝে মধ্যেই তিনি লটারির টিকিট কাটতেন। শুক্রবারও সন্ধ্যায় তিনি ৩০ টাকা দিয়ে ডিয়ার লটারির টিকিট কাটেন। এরপর রাত ৮টা নাগাদ প্রকাশিত হয় ডিয়ার লটারির ফলাফল। টিকিটের নম্বর মিলিয়ে দেখে বাবলু জানতে পারেন কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন তিনি। আর এই খবর চাউর হওয়ার পরেই রীতিমতো হইচই পড়ে যায় গোটা এলাকায়। শুভেচ্ছা জানানোর জন্য অনেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেন।
জানা গিয়েছে, ওই মাছ বিক্রেতা বাবলু চৌধুরী ভিন রাজ্যে মাছ বিক্রি করে সংসার চালাতেন। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, মা এবং কাকা। অভাবের সংসার। নুন আনতে পান্তা ফুরনোর দশা। সেই পরিবারে কোটি টাকার লটারি জয়ের খবরে রীতিমতো আনন্দের বন্যা বইছে।
লটারি জয়ের পর বাবলু বলেন, ‘আমি এক কোটি টাকা পুরস্কার পেয়েছি তা ভাবতেই পারছি না। অত্যন্ত ভালো লাগছে। নিতান্তই শখ করে আমি লটারি কেটেছিলাম। এই নিয়ে আলাদা করে কোনও নেশা আমার নেই। কিন্তু, আমি যে এক কোটি টাকার পুরস্কার পাব, তা কখনও ভাবতে পারিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই টাকা দিয়ে নতুন কোনও ব্যবসা শুরু করতে চাই এবং পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই। বাড়ির সকলের জন্য কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। সুন্দর একটা ব্যবসা করব, বাড়ি করব এবং পরিবারের সকলকে খুশি রাখব।’
অনেক সময় দেখা যায় যাঁরা লটারি জিতে ধনী হয়েছেন তাঁরা ফের লটারিতেই সব টাকা হারিয়ে দেন। এই ধরনের ঘটনা নেহাত কম নয়। বাবলু অবশ্য বলেন, ‘আমি নেহাত শখের জন্য লটারি কিনেছিলাম। আমার এই নিয়ে আলাদা করে কোনও নেশা নেই। তাই টাকা ওড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। আমি আর লটারি কাটব না।’
এদিকে কোটি টাকার লটারি জয়ের বিষয়টি তিনি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছেন। তাঁর সুরক্ষাও নিশ্চিত করা হয়েছে। বাবলুর লটারি জয়ের খবর সামনে আসতেই রীতিমতো খুশির বন্যা বইছে তাঁদের প্রতিবেশীদের মধ্যেও। বাবলুর প্রতিবেশী বলেন, ‘ও রুজির জন্য অন্য রাজ্যে থাকত। লটারি জয়ের ফলে ওর পরিবারের বড় লাভ হয়েছে।’