কী জানা যাচ্ছে?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠানোর বিষয়ে আদালতের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন বিচারপতি জানান, এখানে আদালত গ্রাহ্য অপরাধ কোথায়! আমি আর কিছু বলব না। আপনাদের পুলিশ কী নিয়ে আসে দেখি। এমনকি, পুলিশের উদ্দেশে বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘আবারও বলছি পুলিশই রাজ্য সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলছে।’
কী নির্দেশ আদালতের?
উক্ত মামলায় আদালতের নির্দেশ, আইন মোতাবেক এমন লেখার মধ্যে কাউকে অপমান বা দুটো গ্রুপ বা দু পক্ষের মধ্যে হিংসা ছড়ানোর উপাদান থাকলে তবেই তাতে ধারা যোগ করা যায়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে তেমন কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী ১১ জানুয়ারি পরের শুনানি হবে এই মামলায়। সেদিন কেস ডাইরি আনতে হবে রাজ্যেকে। এই মামলায় কোনও কড়া পদক্ষেপ পুলিশ করতে পারবে না। আদালতের অনুমতি ছাড়া ফাইনাল রিপোর্ট দিতে পারবে না বলেও নির্দেশ আদালতের।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তার কিছুদিন আগেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ফলক লাগানো নিয়ে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই চিঠি পাঠিয়ে বিদ্যুৎ উল্লেখ করেছিলেন, ‘নিজের চোখ দিয়ে বাস্তব না দেখে, আপনি কান দিয়ে দেখছেন।’ চিঠিতে শাসকদলের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক ও নেতার গ্রেফতারি নিয়েও খোঁচা দিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই চিঠি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
অন্যদিকে, একজন অটো চালক ভিসির নামে FIR করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রাস্তায় অটো বন্ধ করে দেয় পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশে বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। তাই ভিসির বিরুদ্ধে FIR করে এক অটো চালক। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, ‘ভিসি এটা করেছেন? আপনারা রাজ্যকে বিড়ম্বনায় ফেলছেন। পুলিশ এটা করতে পারে? যে কোনও কিছু পেলেই ধারা জুড়ে দিচ্ছে। সেখানে কি আছে সেটা দেখছে না। আবার বলছি পুলিশ রাজ্য সরকারকেই বিড়ম্বনায় ফেলছে।’