বাদ শান্তনুর নাম
মঙ্গলবার রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শাহ-নাড্ডা। বৈঠকে তৈরি হয় ১৫ জনের টিম। অথচ, সেই টিমে নাম নেই রাজ্যের দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। যার মধ্যে অন্যতম শান্তনু ঠাকুর। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে জলঘোলা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। যদিও তৃণমূলের দাবি, গত পাঁচ বছরে মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ কিছু করতে দেখা যায়নি সাংসদকে। নাগরিকত্ব এখন অথৈ জলে। মানুষের সামনে ‘ জবাব দেওয়ার কিছু নেই’, সেই কথা মাথায় রেখেই সাইডলাইন করা হল শান্তনুকে।
কী বলছে তৃণমূল?
বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস জানান, মানুষ শেষ পাঁচ বছরে অনেক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি শুনেছেন ওঁর কাছ থেকে। মানুষ পুরোটা বুঝে গিয়েছে। এবার আর ভোটের আগে মানুষকে ভোলানো যাবে না, সেটা বুঝতে পেরেছে হয়তো বিজেপি। সেই কারণেই এই কমিটিতে তাঁকে রাখা হয়নি। তবে এতে কি পোয়া বারো তৃণমূলের? বনগাঁ আসন কি ছিনিয়ে নেওয়ার রাস্তা তৈরি হল?
তৃণমূলের দাবি, নাগরিকত্ব বিষয়টিকে নিজেরাই ঘেঁটে দিয়েছে বিজেপি। কিছুদিন আগেই সাংসদ নিজের উদ্যোগে একটি কার্ড ইস্যু করে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেয়েছিলেন। সেই বিষয়ে প্রতিবাদ স্বয়ং বিজেপির বিধায়ক হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ আসনটি নিয়ে বিজেপি নিজেই আত্মবিশ্বাসী নয় বলে দাবি তৃণমূলের। বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘ পুর নির্বাচন এবং গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল দেখিয়েছে মানুষের সমর্থন তৃণমূলের প্রতি রয়েছে। শান্তনু ঠাকুর যদিও আবার ওই কেন্দ্র থেকে দাঁড়ান তাহলে ২ লাখ ভোট উনি হারবেন, এটা একপ্রকার নিশ্চিত।’
যদিও, ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিমে শান্তনু ঠাকুর না থাকটা অস্বাভাবিক মনে করছেন না স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘ উনি দায়িত্বে থাকলে গোটা রাজ্যে দায়িত্ব সামলাতে হতো। সেক্ষেত্রে কমিটিতে না থাকায় তিনি নিজের কেন্দ্রে ফোকাস করতে পারবেন। সেই কথা ভেবেই দল সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’