এর আগেও টুম্পা সোনা গানের প্যারোডি করে বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচার করেছিল বামেরা। এবার ব্রিগেডের আগেও তৈরি হল সেরকমই একটি প্যারোডি সং। গানের প্রতিটি লাইনেই তৃণমূল এবং বিজেপিকে কটাক্ষ করে রয়েছে ব্যঙ্গাত্মক বার্তা। যেখানে শুরুতেই রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি এবং কর্মসংস্থানের অভাবের বিষয়টি প্রতিবাদের তালিকার শীর্ষে থাকে বামেদের। গানেও উঠে এল সেই লাইন। ‘ চাকরি খেল নেতার ছেলে, শিক্ষামন্ত্রী যাচ্ছে জেলে/ চাষি খেল সেঁকো বিষ, পিসি ভাইপো দিচ্ছে শিস।’
গানের পরতে পরতে উঠে এসেছে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক খোঁচা। রাজ্যের তৃণমূল সরকারের পাশাপাশি, বিজেপির বিরুদ্ধেও কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে এই প্যারোডি গানে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে ‘কর্পোরেট মুকুব ঋণে, আম আদমি বেকুব বনে/ ফ্ল্যাশ লাইটে দেশের পিতা, হাথরাসেতে জ্বলছে চিতা’র মতো গানের কলি উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবারই ব্রিগেডে সভার প্রস্তুতি দেখতে যান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। রাজ্যে শিক্ষা থেকে শুরু করে রেশন, স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রেই যে দুর্নীতি হচ্ছে সেই বার্তাই আগামী রবিবারের সভামঞ্চ থেকে উঠে আসবে বলে জানান তিনি। দীর্ঘদিনের ইনসাফ যাত্রার পর রবিবারের মঞ্চ থেকে আগামী লোকসভা নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করতে পারে বাম দল বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও, কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছে। একাসনে বসেছে ইয়েচুরি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধীরা। তবে সেটা রাজধানীতেই। রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে যে আক্রমণের মাত্রা এতটুকু কমবে না, সেটা আগেই পরিষ্কার করে দিয়েছে রাজ্য সিপিএম নেতৃত্ব। অন্যদিকে, এই ব্রিগেডের সভার পরেই আগামী লোকসভার জন্য আসন বন্টন এবং প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি শুরু করে দেবে বামেরা বলেই আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর। তার আগে জনসমর্থনের ভিত বুঝে নিতে রবিবারের সভা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে বাম শিবির।