অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বিবাদ এখনো অব্যাহত। বিশ্বভারতীর তরফে ১৩ ডেসিমেল জমি ফেরত চেয়ে করা হয়েছিল মামলা। আজ, শনিবার ছিল এই মামলার শুনানির শেষ দিন। আগামী 31 জানুয়ারি এই মামলার রায় ঘোষণা করবে আদালত। কিন্তু রায় ঘোষণার আগে আজকের সওয়াল জবাব শেষে অমর্ত্য সেনকে নজিরবিহীন ভাবে আক্রমণ করলেন বিশ্বভারতীর আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস।
এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই অমর্ত্য সেনের সব কিছুই মিথ্যে। ইকোনমিক্স এর উপর কোনওদিন নোবেল হয় না। এটা ব্যাংক অফ সুইডেন দিয়েছিল একটি কমিটি ফর্ম করে। যেটাকে উনি নোবেল বলে চালাচ্ছেন। আপনারা কেউ বলতে পারবেন ভারতবর্ষে ওনার অবদান কী আছে?’ তিনি জানান, ভারতবর্ষে ওঁর অবদান শূন্য, আমি রিসার্চ করে দেখেছি। উনি বিশ্ববিদ্যালয় একটা ক্লাস পর্যন্ত কোনওদিন নেননি।
সেখানে কবিগুরু আমাদেরকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিয়েছেন। স্বদেশীদেরকে গান লিখে অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁদেরকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন। তাঁর সৃষ্টিতে আমরা আজও উজ্জীবিত হয়ে আছি। আর তাই রবীন্দ্রনাথের সম্পত্তি রক্ষা করা আমার দায়িত্ব ছিল। সেই জায়গা থেকে আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ওখানকার যারা অফিসার ছিলেন এস্টেট অফিসার বা অন্য যাঁরা অফিসার আমাকে সহযোগিতা করেছেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। উপাচার্যের হিসাবে ওঁর কর্তব্য ছিল রবীন্দ্রনাথের সম্পত্তি রক্ষা করা তাই উনি এই পদক্ষেপটি নিয়েছেন এখানে কোথাও কোন ভুল হয়নি।
নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’র সীমানাবর্তী জমি নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। বিশ্বভারতী দাবি, মোট ১.২৫ একর জমি লিজ় দেওয়া হয়েছিল অমর্ত্যের প্রয়াত বাবা আশুতোষ সেনকে। স্বাভাবিকভাবেই, ১৩ ডেসিম্যাল জমি অমর্ত্য দেন ‘জবরদখল’ করে রয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। যদিও ১.৩৮ একর জমিই অমর্ত্যের নামে মিউটেশন করা হয়েছে বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। অমর্ত্য সেন জমি সংক্রান্ত সম্পূর্ণ রূপ সাহায্য করবে রাজ্য সরকার বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।