সেই সময়ে তাঁরা মানসিক ও শারীরিক ভাবে টানটান থাকবেন। যে ভাবে মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় তাঁরা তটস্থ থাকেন, ঠিক সে ভাবে। সম্প্রতি সন্দেশখালি ও বনগাঁয় যে পরিস্থিতির মুখোমুখি তাঁদের পড়তে হয়েছে, সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের সাজসজ্জা, হাতিয়ার ও মাইন্ডসেটে এহেন পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিআরপিএফ।
রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে সন্দেশখালি ও বনগাঁয় অভিযানে গিয়ে রক্তাক্ত হতে হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। ভাঙচুর হয়েছে তাঁদের গাড়ি। দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হন ইডি অফিসাররা। সিআরপিএফ জওয়ানরাও রেহাই পাননি। ইডি অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে প্রাণ বাঁচাতে কার্যত পালাতে হয় সিআরপিএফ জওয়ানদের।
আবার, বনগাঁয় তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেপ্তারের পর প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয় ইডি-কে। সেখানেও হামলা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসার ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপর। দু’জায়গায় আক্রান্ত হলেও জওয়ানরা গুলি চালাননি। সিআরপিএফের দাবি, জওয়ানরা সংযম দেখিয়েছেন।
রাজ্যে কয়লা থেকে গোরু পাচার, স্কুল থেকে পুরসভায় নিয়োগ-সহ বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলার তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে অভিযানে যাচ্ছেন। তবে এর আগে তাঁদের কোথাও কোথাও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হলেও সন্দেশখালি বা বনগাঁর মতো ঘটনা এর আগে ঘটেনি।
ইডি-র দাবি, পরিকল্পনা মাফিক সন্দেশখালিতে হামলা হয়েছে, শেখ শাহজাহানের মদতে প্রাণহানির উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে সর্বোচ্চ স্তরে পর্যালোচনা করে ইডি এবং সিআরপিএফ। রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত শঙ্কর আঢ্যকে সোমবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শারীরিক পরীক্ষার জন্য। এ দিনই শঙ্করকে পাহারা দেওয়া সিআরপিএফ জওয়ানদের স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও ছিল হেলমেট, বডি প্রোটেক্টর, লাঠি ও ঢাল।