তবে ভিড়ের সঙ্গে দেখা গিয়েছে অপরাধমূলক কাজও। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, এখনও পর্যন্ত ৪১টি পকেটমারির ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ৩৮টি ক্ষেত্রেই খোয়া যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার করা গিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন অপরাধে মোট ২৫০ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। পুলিশ প্রশাসন যে মেলায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে তা মন্ত্রীর কথা থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, প্রতিবারের মতো এবারেও মেলায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত, এমনকী ভিন রাজ্য থেকেও ভিড় জমিয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। সময় যত এগোবে মানুষের ভিড় আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। পুণ্যার্থীদের যাতায়াতে যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় তার জন্য পর্যাপ্ত যানবাহন রাখার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।
এদিকে মেলা উপলক্ষে কপিল মুনির আশ্রম-সহ গোটা মেলা চত্বরকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে বিশ্রামাগার, নয়া পাকা রাস্তা, পথ আলো, যাত্রী নিবাস, পানীয় জলের ব্যবস্থা এবং দশ হাজারেরও বেশি শৌচালয়। এবারের মেলায় পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের জন্য ২২টি জেটি ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে আড়াই হাজার বাস, ৬টি বার্জ, ৩৮ টি ভেসেল ও ১০০টি লঞ্চের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও ঘন কুয়াশায় তীর্থযাত্রীদের যাতে নিরাপদে পারাপার করানো যায় তার জন্য মুড়িগঙ্গা নদীতে থাকা বিদ্যুতের টাওয়ারে এবং যেটিতে শক্তিশালী আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি যানবাহন, ভেসেল ও লঞ্চকে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।