লোকসভায় লড়াইয়ের সম্ভাবনা
নির্বাচনী লড়াইয়ে ইতিমধ্যে হাত পাকিয়ে নিয়েছেন যুব নেত্রী। নন্দীগ্রামের মতো হাইভোল্টেজ আসনে রাজ্য রাজনীতির দুই প্রধান মুখের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন তিনি। হেরেছেন হয়তো! তবে শিক্ষা নিয়েছেন অনেক বেশি। সাধারণের সঙ্গে জনসংযোগের কৌশল অনেকটাই রপ্ত করে ফেলেছেন গত কয়েক বছরে। যার প্রভাব দেখা গিয়েছে ইনসাফ যাত্রাতেও। সিপিএমের এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘ইনসাফ যাত্রায় যেভাবে মীনাক্ষী গোটা রাজ্যে ঘুরে জনসংযোগ করেছে, তাতে মানুষের কাছে ওঁর অনেকটাই গ্রহণযোগ্যতা হয়েছে। সেটা চোখে পড়ার মতো।’
কোন আসনে লড়াইয়ের সম্ভাবনা
যদি তিনি আগামী লোকসভা নির্বাচনে টিকিট পান, তাহলে কোন আসনে দাঁড়াবেন, এই নিয়ে একাধিক সম্ভাবনা ঘুরে বেড়াচ্ছে দলের অন্দরে। একটি অংশ বলছে, মীনাক্ষী যেহেতু পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির মেয়ে, সেহেতু তাঁকে আসানসোল কেন্দ্রে দেওয়া হোক। ঘরের মেয়েকে ঘরে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা রয়েছে। আরেকটি অংশ বলছে, বর্ধমান দুর্গাপুর আসেন তাঁকে লড়াইয়ের জন্য সুযোগ দেওয়া হতে পারে। রাজ্যে তুলনামূলক সিপিএমের সহজ আসনেই তাঁকে লড়াইয়ের মাধ্যমে নামানো হবে, যাতে জিতিয়ে লোকসভায় পাঠানো যায়। তাতে, আগামী দিনে দলেই মঙ্গল। আরেকটি অংশ আবার বলছে, মুর্শিদাবাদ আসনের জন্যেও তাঁকে ভাবা হতে পারে। তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে, লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার কোনও বৈঠক হওয়ার পর।
তবে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের লোকসভায় প্রার্থী করা নিয়ে বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের দলে কমিটির বৈঠকে প্রার্থিপদ চূড়ান্ত হয়। এখনও এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়নি।’
তবে দলের যুব এবং ছাত্র সংগঠনের একাংশ মনে করছেন, মীনাক্ষীকে লোকসভায় প্রার্থী করা হলে দুটি বিষয় ভালো বার্তা যেতে পারে মানুষের কাছে। একদিকে, সিপিএমের ‘যৌবন’ শক্তিকে এগিয়ে আনার তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা তো হচ্ছেই, পাশাপাশি, লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের ক্ষেত্রে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের মতো ভালো বক্তাকে নিজের কেন্দ্র এবং অন্যান্য কেন্দ্রেও কাজে লাগানো যাবে। বিষয়টি নিয়ে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি কি প্রার্থী হচ্ছেন, এর উত্তর সময়ের উপরেই ছেড়ে দিতে হবে।