এক ভিডিয়ো বার্তায় সুমন রায়চৌধুরী বলেন, ‘যে ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল রাহুল গান্ধীর পোস্টার এবং ফ্লেক্স ছিঁড়ে দিচ্ছে গোটা পশ্চিমবঙ্গে, ঠিক সেই ভাবে একই পথ অনুসরণ করে শুভেন্দু অধিকারী খুব নোংরা ভাষায়, যাকে আমরা গালাগালি বলে…, উনি পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা, নিজের পদ ভুলে গিয়ে, রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করেছেন। সারা বাংলাজুড়ে আমার যত সহকর্মী বন্ধুরা রয়েছেন, আপনারা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিন। এর মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী, ভারতীয় জনতা পার্টি ও তাদের প্রত্যেকের রুচি, শিক্ষা জনতার সামনে নতুন করে চলে এল। এর তীব্র প্রতিবাদা জানাই।’
শুধু কংগ্রেস নয়, শুভেন্দু অধিকারীর এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা লেখেন, ‘এই ধরণের আপত্তিজনক ভাষা আপনার আপত্তিজনক চরিত্রের বিষয়ে অনেক কিছু বলে দেয়। আপত্তিজনক মন্তব্য আপনার দলের অহঙ্কার ও গুন্ডামিকেই তুলে ধরে।। শ্রীযুক্ত অধিকারী, যদি আপনি এই ধরণের ভাষা প্রয়োগ করে বাংলার সংস্কৃতিকে অপবিত্র না করেন, তাহলে ভালো হয়।’
প্রসঙ্গত, রবিবার থেকে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে লাগাতার রাজ্যে একের পর এক কর্মসূচি চালিয়ে গিয়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী। প্রথমে জলপাইগুড়, পরে শিলিগুড়ি ও সোমবার উত্তর দিনাজপুরে রোড শো করেন রাহুল। গতকাল শিলিগুড়িতে দেশকে পথ দেখানোর জন্য বাংলাকে এগিয়ে আসার বার্তাও দেন তিনি। সেখান স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার ভূমিকা ও বাংলার মনীষীদের কথাও স্মরণ করেন কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা। উত্তর দিনাজপুরের কর্মসূচি সেরে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে বিহারে গিয়েছেন রাহুল। এরপর ফের বঙ্গে ফিরবেন তিনি। মালদা ও মুর্শিদাবাদে কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।
প্রসঙ্গত, বঙ্গ রাজনীতিতে কুরুচিকর ভাষা প্রয়োগ এই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা কুরুচিরকর মন্তব্য করেছেন। যার জেরে সময়ে সময়ে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। আর এবার সেই তালিকায় চলে এলেন শুভেন্দু অধিকারীও।