Bharat Jodo Nyay Yatra : মুর্শিদাবাদে পা রেখেই বিড়ি শ্রমিকদের দুয়ারে রাহুল, ন্যায় যাত্রায় যোগ সুজনেরও – rahul gandhi bharat jodo nyay yatra resumes in murshidabad west bengal he meet with bidi labourer


আজ মুর্শিদাবাদে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা কর্মসূচি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। মুর্শিদাবাদে ঢুকে সরাসরি বিড়ি শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করতে যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কথা বলেন বিড়ি শ্রমিকদের সঙ্গে। তাঁদের মজুরি সহ বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনলেন। এদিন রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার সামিল হন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। এছাড়াও এদিন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমেরও পদযাত্রায় যোগ দেওয়ার কথা। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। হুড খোলা গাড়িতে ঘুরতে দেখা যায় রাহুল গান্ধীকে।

একদিন আগে বহরমপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে ঝাঁঝাল গলায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং খারাপ করেছে সিপিএম। সিপিএম বিজেপির প্রধান দালাল। দু’টো আসন দিতে চেয়েছিলাম, রাজি হয়নি। আমি বললাম, বিয়াল্লিশটা চাই? একটাও দেব না। আমি একাই লড়ব। আমার ক্ষমতা আছে।’আর বৃহস্পতিবার ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় সামিল হতে দেখা হলে সেই সিপিএম নেতৃত্বকেই। মিছিলে দুই দলের পতাকা মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।

মুর্শিদাবাদে ঢুকে প্রথমেই বিড়ি মহল্লায় পা রাখেন রাহুল গান্ধী। বিড়ি শিল্পীদের বাড়ি গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। মুর্শিদাবাদে প্রায় ১৩ লাখ বিড়ি শ্রমিক রয়েছেন। বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বামেদের সাতটি সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে অধীর চৌধুরীও পদযাত্রা করেন। এদিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সরাসরি বিড়ি শ্রমিকদের বাড়িতে হাজির হন। তঁদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করেন। রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, এর মধ্যে দিয়ে বিড়ি শ্রমিক ভোট ব্যাঙ্কে কবজা করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব।


প্রসঙ্গত, রাজ্যে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা চালাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহিল গান্ধী। কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছে তাঁর ন্যায় যাত্রা। এরপর জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, উত্তর জিনাজপুর, মালদা হয়ে এবার মুর্শিদাবাদে পৌঁছেছেন রাহুল গান্ধী। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য একটা সময় কংগ্রেসের অন্যতম গড় ছিল কংগ্রেস। যদিও পরে সেই জেলায় শক্তি বৃদ্ধি করে তৃণমূল। এর মাঝে গত লোকসভা নির্বাচনেও বহরমপুর নিজের দখলেই রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। আর তারপরেই মুর্শিদাবাদে রাহুল গান্ধী। রাজনৈতিকমহলে একাংশ মনে করছে, এবারের নির্বাচনে বহরমপুর কংগ্রেসের থেকে ছিনিয়ে আনতে কার্যত মরিয়া তৃণমূল। সেই জায়গা থেকে মমতার পরেই রাহুলের এই মুর্শিদাবাদ সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *