আগামীকাল বীরভূমে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় আসছেন রাহুল গান্ধী। আর তার জন্যই এবার সিউড়ির দাদুভাই সুইটস থেকে নিয়ে যাওয়া হল আম, শতমূলী, বেলের প্রায় পাঁচ কেজি মোরব্বা। পাশাপাশি নিয়ে যাওয়া হল আঁচারও। কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাহুল গান্ধী খেতে চেয়েছেন এই মোরব্বা। সেই কারণে এই মিষ্টি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মিল্টন রশিদ বলেন , ‘রাহুল গান্ধী জেলায় আসছেন, কিন্তু ওঁর খাবারের সমস্ত ব্যবস্থাই করবে জাতীয় কংগ্রেসের টিম। তবে সিউড়ির মোরব্বা বিখ্যাত আর তাই জন্য আমি রাহুল গান্ধী এবং অধীর চৌধুরীকে এই মোরব্বা খাওয়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলাম। সিউড়ি থেকে সব রকমের মোরব্বা নিয়ে আসা হয়েছে তা আগামীকাল রাহুল গান্ধীকে খাবারের সাথে পরিবেশন করা হবে।’
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম, এড়োয়ালি, আওগ্রাম, পারুলিয়া, মাঝিপাড়া মোড় হয়ে বীরভূমের তারাপীঠ থানার বুধিগ্রামে পৌঁছবেন রাহুল গান্ধী। তবে বীরভূম জেলায় শুক্রবার এই যাত্রা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। কারণ, ২ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেই কারণে এই কর্মসূচির জন্য অনুমতি দিচ্ছে না জেলা পুলিশ।
যদিও, কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে এই যাত্রার নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাহুল গান্ধী শুধুমাত্র গাড়ি নিয়ে র্যালি করবেনন। রাস্তায় যাত্রাপথে নেমে হয়তো মানুষের সঙ্গে হাত মেলাবেন। তবে যাত্রাপথে কোনও পথসভা করার কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। মাইকও ব্যবহার হবে না। সেই কারণে পুলিশের কাছে এই যাত্রার জন্য সহযোগিতা করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
জেলা পুলিশের তরফে জেলা কংগ্রেসের এই আবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে শুক্রবার আদৌ এই যাত্রা আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। জেলা কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ভোল্লা ক্যানাল মোড় পেরিয়ে একটি বেসরকারি স্কুলের সামনে রাহুল গান্ধী এবং তাঁর সহকারীদের দুপুরের আহার গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেই সিউড়ির এই বিখ্যাত মোরব্বা পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে।