লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এটা কি অন্যতম প্রচার কৌশল? ব্রাত্য বসু তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের থিয়েটার দলকে প্রধানমন্ত্রীর মহিমাবাচক ও গুণকীর্তন করা একটি ছোট নাটিকা পাঠিয়েছে। সেই নাটিকা সর্বত্র অভিনয় করতে হবে এমন নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
‘লে আও বাপস সোনে কি চিড়িয়া’ অর্থাৎ সোনার পাখি ফিরিয়ে আনো নামক একটি নাটকের কপি শেয়ার করেছেন ব্রাত্য বসু। হিন্দি ভাষায় তিন পাতার সেই নাটিকা সব থিয়েটার দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে বলে তাঁর দাবি। সেই ছবি শেয়ার করে ব্রাত্য জানিয়েছেন, ‘এই নাটকে অভিনয় সর্বত্র করতে হবে। অভিনয়টি না করলে কেন্দ্রের পাঠানো মোটা অনুদান ও অর্থ বরাদ্দ করা বন্ধ হয়ে যাবে।’
যদিও, কিছুদিন আগেই সরকারি কর্মচারীদের একাংশের ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে একটি নাটক অভিনীত হয়। ‘জগাখিচুড়ি’ নামক সেই নাটক করে চকদাহ নাট্য সংস্থা। সেই নাটক পরিবেশিত করার জন্যে নাকি কল্যাণী পুরসভা নাট্য উৎসবের অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ তোলা হয়। সেই নিয়েও বিতর্কের জল গড়ায়।
এবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নাটক নিয়ে ফতোয়া জারি করার অভিযোগ তুললেন ব্রাত্য। তিনি এও বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের থিয়েটার দলগুলো যেহেতু মূলত বামপন্থী, সেকুলার, তাঁরা সবাই এই প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবেন।’ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি কতাক্ত কটাক্ষ করে ব্রাত্য বলেন, ‘ঠ্যালার নাম বাবাজি, কাকে বলে দ্যাখ এবার।’ নাটক নিয়ে না থিয়েটার নিয়ে নানা ফতোয়া জারি, বন্ধের কোপে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। বিভিন্ন সরকারের বিরুদ্ধে এই নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই বিতর্কে নতুন সংযোজন নতুন এই বিষয়টি নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে নাট্য মহলে। যদিও, বিষয়টি নিয়ে বিজেপির তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।