সোমা মাইতি: তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে বিস্ফোরক অধীর চৌধুরী। অধীর চৌধুরী বলেন, “তৃণমূল দলের মধ্যে আজ অন্তর্দন্দ্বের যে দহন চলছে, আর তা থেকে যে বিভাজন চলছে, তাতে তৃণমূল দল আগামী দিনে যে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আজকে তৃণমূল দলের মধ্যে বিদ্রোহের হিম্মত করছে। এটা আগে ছিল না। তৃণমূল দলে এখন কার হাতে লাগাম, তা-ই স্পষ্ট নয়। আমার ধারণা দিদির দল ভার্সেস খোকাবাবুর দলের মধ্যে মারামারি চলছে।” নাম না করে এভাবেই নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে।

একইসঙ্গে অধীর চৌধুরী শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়েও বিজেপি-তৃণমূল আঁতাতের তোপ দাগেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী দাবি করেছেন, বিজেপির চাপেই গ্রেফতার শাহজাহান! মোদীর দাবি প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, “আমি তো কালকেই বলেছি হঠাত্ করে শাহজাহান গ্রেফতার আর নরেন্দ্র মোদীর আগমনের মধ্যে কি কোন মিল আছে? তারপর আবার দিদির মোলাকাত্ রাজভবনে! এই তিনটের মধ্যে কোথাও কী সমঝোতা আছে?” প্রসঙ্গত, ইডি অফিসারদের উপর হামলার ৫৬ দিন পর মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। অধীর চৌধুরী সেই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা তো অনেক দিন আগেই একথা বলেছি। দিদির আঁচল যার মাথায়, পশ্চিমবঙ্গে তার কিছু হতে পারে কী? পুলিস কী করবে? পুলিসের চাকরি যাবে! পুলিসকে কী কেউ বলেছে ধরে নিয়ে এসো?”

শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বা তৃণমূল সরকার নয়, এদিন অধীর চৌধুরীর আক্রমণের নিশানায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও। এদিন কৃষ্ণনগরের সভা থেকে এনআরসি ও সিএএ নিয়ে কিছু বলেননি মোদী। সেপ্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, “ওটা রেখে দিয়েছেন অমিত শাহের জন্য। এখনও দ্বিধায় আছেন। এটা হলে আসামে গন্ডগোল লেগে যাবে। নাগাল্যান্ডে লড়াই লেগে যাবে। তাই দ্বিধায় আছে। এটা স্টকে রেখে দিয়েছে। যেমন যেমন বাজার, তেমন তেমন ছাড়া হবে। মতুয়াদের দ্বিধায় রেখে দিয়ে বুদ্ধু বানানো হচ্ছে। আইন যদি রেডি, তাহলে এতদিন কেন পড়ে আছে?” প্রশ্ন তোলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

আরও পড়ুন, Modi On Mahua Moitra: মহুয়ায় নীরব, কৃষ্ণনগরে দাঁড়িয়ে মোদীর ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ অবস্থান!

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version