সোমবার দুপুরে দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন পবন সিং। প্রশ্ন উঠছিল, তিনি কি অন্য কোনও আসন থেকে ভোটে লড়বেন? এই বৈঠকে ছিলেন বঙ্গের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতা মঙ্গল পাণ্ডেও। জানা গিয়েছে, এরই মধ্যে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মণ্ডল পাণ্ডে এবং বিজেপির অপর শীর্ষ নেতা সুনীল বনসল।
স্বাভাবিকভাবেই যে প্রশ্ন উঠছে তা হল পবন সিংকে কি অন্য কোনও কেন্দ্রের প্রার্থী করা হবে? রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশের কথায়, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরেই পবন সিংকে নিয়ে একের পর এক মন্তব্য সামনে আসতে থাকে। তাঁর বঙ্গনারী বিদ্বেষী ভাবমূর্তিকে সামনে রেখে সরব হন বিরোধীরা।
যদি তাঁকে বাংলার অন্য কোনও আসন থেকেও প্রার্থী করা হয় সেক্ষেত্রেও বড় বেগ পেতে হতে পারে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে। সেক্ষেত্রে কি তিনি আসানসোল থেকেই ভোটে লড়বেন? নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর পবন সিং অবশ্য বলেন, ‘যা হবে তা ভালোই হবে।’
এদিকে সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। বাকি ২২টি কেন্দ্রে কারা বিজেপির প্রার্থী হবেন? তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। এবার বাংলার অন্যান্য আসনে যাতে স্থানীয় মুখেদের উপর ভরসা রাখা যায়, সেই দিকেই দেওয়া হবে জোর।
পাশাপাশি দলের পরিচিত মুখেদের উপর এক্ষেত্রে ভরসা রাখতে চাওয়ার বিষয়ে আগ্রহী রাজ্য নেতৃত্ব, সূত্রের খবর এমনটাই। প্রাথমিকভাবে অভিজ্ঞ মহলের কথায়, এই দিনই হয়তো বাদবাকি ২২টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে প্রস্তাব করে থাকতে পারেন সুকান্ত মজুমদার। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে যেতে পারে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীও। সেই বিষয়টিকে সামনে রেখে জল্পনা আরও বাড়ছে।