‘বাঘ’ ধরা পড়েছে জালে। দীর্ঘ প্রায় ৫৫ দিন ফেরার থাকার পর ধরা রাজ্য পুলিশের হাতে আসে শেখ শাহজাহান। বর্তমান ঠিকানা নিজাম প্যালেস, সিবিআইয়ের জিম্মায়। তবে, তার দর্শন মিললেও, খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তার দুই বাহনের। গুচ্ছ গুচ্ছ কেস রয়েছে দুটি তার গাড়ির নামে। আপাতত, গাড়ি দুটি নিখোঁজ।শাহজাহানকে হাতে পাওয়ার পর রুদ্বশ্বাস গতিতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইতিমধ্যে, তার আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ইডি। এর মাঝেই লক্ষ্য করা গিয়েছে, বিলাসবহুল দুটি গাড়ি নগদে কিনেছিল শাহজাহান। কী করে এত নগদ টাকা? উৎস খুঁজতে নেমে পড়েছে ইডি। যে কোম্পানি থেকে গাড়ি দুটি কেনা হয়েছিল, তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

কলকাতা যাতায়াতের জন্য ওই দুটি গাড়ি ব্যবহার করত শাহজাহান। বর্তমান পত্রিকার একটি সংবাদ অনুসারে, গাড়ি দুটির নম্বর ডব্লুবি ০৬ এল ৬৫৫৫ এবং নম্বর ডব্লুবি ২৬ বিজি ৭৯০১। দুটি গড়িয়ে মিলিয়ে প্রায় ১১৮টি কেস রয়েছে ট্রাফিকের। মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙা থেকে শুরু করে একাধিক কেস রয়েছে গাড়ি গুলির নামে।

কার গাড়ি দেখতে হবে না! তিনি, যে আইন ভাঙতে ওস্তাদ, এমনটাই অভিযোগ করছেন অনেকে। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে, তার গাড়ি দুটিও। পুলিশের নজরদারি ক্যামরায় এই দুটি গাড়ি একাধিকবার ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করেছে। নিয়ম মতো জরিমানা করা হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের তরফে। জরিমানার অর্থ চেয়ে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, যে কে সেই! জরিমানা জমা দেওয়ার বালাই নেই। ট্রাফিকের জরিমানার এসএমএস জমা পড়ে রয়েছে গাড়ির মালিকের মোবাইলের ইনবক্সে। হয়তো মুছেও দেওয়া হয়েছে।

Sheikh Shahjahan News : দলে সাসপেন্ড আগেই, জেলা পরিষদের পদ থেকেও ছাঁটাই শাহজাহান
গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে খাস কলকাতায় একাধিকবার ঘুরে বেরিয়েছে সেই গাড়ি। কলকাতায় কোনও কাজে আসার সময় শেখ শাহজাহান ওই দুটি গাড়ি ব্যবহার করতেন বলেই জানা গিয়েছে। বেপরোয়া ভাবে শহরের রাস্তায় মাঝেমধ্যেই দাপিয়ে বেড়াতো সেই গাড়ি। এমনকি, অনেকবার সেই গাড়ি দুটি কেস খেলেও ‘নবাব’-এর এক ফোনেই কাজ হয়ে যেত। স্পটলাইন না মানা, ইউটার্ন নিতে গিয়ে ভুল করা, ওয়ান ওয়েতে ঢুকে পড়া সহ একাধিক কেস রয়েছে গাড়ি দুটির বিরুদ্ধে। তবে শাহজাহান বেপাত্তা হওয়ার পর থেকই গাড়ি দুটিরও খোঁজ মেলেনি। গাড়ি দুটির খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version