প্রসঙ্গত, বাইসাইকেলে অন্যান্য তালার মতো থাকবে এই বিশেষ লক। যেখানে থাকবে একটি কিউ আর কোড। এই বিশেষ লক এবং তার ভেতরের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার তৈরি করেছেন আইআইটি খড়্গপুরের গবেষক বিজ্ঞানীরা। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এবং সম্পূর্ণ অ্যাপ নির্ভর এই বিশেষ স্মার্ট সিস্টেম। অধ্যাপক দেবব্রতিম পণ্ডিতের তত্ত্বাবধানে বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন এই বিশেষ শেয়ারিং সিস্টেম।
মূলত বিভিন্ন ধরনের শহর, পার্কে ঘোরার জন্য সাইকেল ব্যবহার করেন সাধারণ মানুষ। স্বল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করে, এই পাবলিক বাইসাইকেল শেয়ারিং সিস্টেমের মধ্য দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবে বর্তমান যুব প্রজন্ম। সামান্য পুঁজি দিয়ে বেশ কয়েকটি সাইকেল দিয়ে ব্যবসা শুরু করতেন পারেন সকলেই। এক্ষেত্রে পার্কে আসা বা ইচ্ছুক মানুষজন সাইকেল ভাড়ায় নিতে পারবেন এবং যা তত্ত্বাবধান করবেন ওই সাইকেলের মালিক নিজেই। এক্ষেত্রে থাকছে ইউজার অ্যাপ এবং মডারেটর বা অ্যাডমিন প্যানেল।
কীভাবে কাজ করবে এই বিশেষ প্রযুক্তি? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্রতিটি বাইসাইকেলে একটি করে লক থাকবে। যেগুলি ব্লুটুথ নির্ভর এবং জিপিএস ও জিএসএম নির্ভর। যা তত্ত্বাবধান করা যাবে বিশেষ একটি অ্যাপের মধ্য দিয়ে। এই বিশেষ লকগুলির মধ্যে থাকবে একটি অটোমেটিক এবং একটি সেমি অটোমেটিক। প্রথমে ইউজার অ্যাপ দিয়ে কিউ আর স্ক্যান করে, ব্লুটুথ অন করে, একজন গ্রাহককে প্রথমে তার রাইড শুরু করতে হবে।
কিউ আর স্ক্যান করার পর আপনা থেকেই তালা খুলে যাবে। এরপর অপারেটরদের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে ওই সাইকেল। কোথাও সাইকেলটি রাখতে চাইলে অ্যাপ থেকে হোল্ড কিংবা আপনার গন্তব্যে পৌঁছে গেলে এন্ড করা যাবে।
বর্তমানে আইআইটি খড়গপুর ক্যাম্পাসে বেশ কিছু জায়গায় রাখা রয়েছে সাইকেলগুলি। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পাসেই শুরু হয়েছে পাবলিক বাইসাইকেল শেয়ারিং সিস্টেম।যেখান থেকে আইআইটির গবেষক, পড়ুয়া এমনকী আইআইটিতে থাকা বিভিন্ন মানুষ তা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ব্যবহার করছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের হাত ধরে এই পাইলট প্রজেক্ট এর সূচনা হয়েছে।
মিনিস্ট্রি অফ হাউসিং এন্ড আরবান অ্যাফেয়ার্সের অর্থপুষ্টে এই বিশেষ পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছে ক্যাম্পাসেই। পরবর্তীতে বৃহৎ আকারে এই বিশেষ শেয়ারিং সিস্টেম মানুষকে যে স্বনির্ভর করে তুলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।