রেলের কাজের জন্য শিয়ালদা ডিভিশনে বাতিল প্রচুর ট্রেন। গতকাল মধ্যরাত থেকে আগামীকাল ভোর ৪টে পর্যন্ত এই কাজের জেরে বাতিল করা করা হয়েছে প্রচুর লোকাল। একটানা ৫২ ঘণ্ট চলবে এই পরিস্থিত। দমদম স্টেশনে নন-ইন্টারলকিং-এর কাজের জন্য শিয়ালদা – বনগাঁ, শিয়ালদা – হাসনাবাদ – রানাঘাট সহ বিভিন্ন লাইনে বাতিল করা হয়েছে ট্রেনগুলি। এর জেরে শনিবার সকাল থেকেই চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার ট্রেন যাত্রীরা। একইসঙ্গে এদিন রয়েছে ফুড এসআই-এর চাকরির পরীক্ষা। ফলে দুর্ভাগের মুখে পড়তে হয়েছে পরীক্ষার্থীদেরও।এই পরিস্থিতিতে অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছতে বিকল্প হিসেবে সড়ক পথকে বেছে নিচ্ছেন। ফলে ব্যাপক চাপ সড়কপথে। শতাধিক ট্রেন বাতিলের খবর আগে থেকেই ছিল। তারপরেও যে সমস্ত মানুষকে বিভিন্ন প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হতে হয়েছে। এদিন ভোরের দিকে কয়েকটি ট্রেন কমবেশি দেরিতে চললেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আরও অনিয়মিত হয়ে পড়ে ট্রেন চলাচল। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন। এক একটি স্টেশনে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট করেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ট্রেনগুলিকে।
এদিকে ট্রেনে এই ভিড়ের কারণে অনেকেই বিকল্প হিসেবে বেছে নেন সড়কপথকে। বাস, ট্যক্সি, অটোয় করে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করতে দেখা যায় তাঁদের। এদিকে এত যাত্রীদের এত চাপ থাকলেও রাস্তায় দেখা যায়নি বাড়তি বাস। যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, এদিন রাস্তায় সরকারি বাসের দেখাও খুব একটা বেশি পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি বেসরকারি বাসেও বাদুরঝোলা ভিড়। বাসের পাদানিতে পা দেওয়ারও উপায় নেই। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক হোক বা ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক চিত্রটা একই। অনেকে বাস উঠতে না পেয়ে, ট্রেকার, ম্যাটাডোরে করে গন্তব্যে পৌঁছনর চেষ্টা করেন। অনেক ক্ষেত্রে বেশি ভাড়া চাওয়ারও অভিযোগ ওঠে যাত্রীদের পক্ষ থেকে। আর শুধু সাধারণ যাত্রীরাই নন, অনেকে এদিন ফুড এসআই-এর পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথেই ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েন। তৈরি হয় যানজটেরও।
এদিকে ট্রেনে এই ভিড়ের কারণে অনেকেই বিকল্প হিসেবে বেছে নেন সড়কপথকে। বাস, ট্যক্সি, অটোয় করে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করতে দেখা যায় তাঁদের। এদিকে এত যাত্রীদের এত চাপ থাকলেও রাস্তায় দেখা যায়নি বাড়তি বাস। যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, এদিন রাস্তায় সরকারি বাসের দেখাও খুব একটা বেশি পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি বেসরকারি বাসেও বাদুরঝোলা ভিড়। বাসের পাদানিতে পা দেওয়ারও উপায় নেই। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক হোক বা ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক চিত্রটা একই। অনেকে বাস উঠতে না পেয়ে, ট্রেকার, ম্যাটাডোরে করে গন্তব্যে পৌঁছনর চেষ্টা করেন। অনেক ক্ষেত্রে বেশি ভাড়া চাওয়ারও অভিযোগ ওঠে যাত্রীদের পক্ষ থেকে। আর শুধু সাধারণ যাত্রীরাই নন, অনেকে এদিন ফুড এসআই-এর পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথেই ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েন। তৈরি হয় যানজটেরও।
প্রসঙ্গত, আজ শিয়ালদা – হাবড়া, শিয়ালদা – হাসনাবাদ, শিয়ালদা -মধ্যমগ্রাম, শিয়ালদা – দমদম ক্যান্টনমেন্ট, শিয়ালদা – বারাসত, শিয়ালদা – গোবরডাঙা, শিয়ালদা -দত্তপুকুর, শিয়ালদা – রানাঘাট, বারাসত – হাসনাবাদ, হাসনাবাদ – দমদম জংশন, বালিগঞ্জ – ব্যারাকপুর, মাঝেরহাট – নৈহাটি, শিয়ালদা – বর্ধমান, শিয়ালদা -কাটোয়া, শিয়ালদা – কোমাগাতা মারু বজবজ, ক্যানিং – বারাসত, শিয়ালদা – ডানকুনি, শিয়ালদা – ব্যারাকপুর, শিয়ালদা -নৈহাটি, ব্যারাকপুর – দমদম, বিবাদী বাগ – কৃষ্ণনগর সিটি জংশন লাইন, মাঝেরহাট – মধ্যমগ্রাম, মাঝেরহাট -বারাসত, শিয়ালদা – বনগাঁ, হাসনাবাদ – মাঝেরহাট লাইনে বহু ট্রেন বাতিল রাখা হচ্ছে। একইভাবে আগামীকাল রবিবারও একই ভোগান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে।