উন্নয়নের ইস্যুতেই ভোটের লড়াইতে নামছেন বলে জানিয়েদেন ঈশা খান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘মালদার উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় আছে। যেমন গঙ্গা ভাঙন, সীমান্ত এলাকার সমস্যা, আর্সেনিকমুক্ত জল, রাস্তা, বিষয়ের শেষ নেই। গনি খান চৌধুরী মালদার প্রচুর উন্নয়ন করেছিলেন। তারপর ডালুবাবু, প্রাক্তন বিধায়কেরা। সবাই কাজ করেছি, কিন্তু কাজ তো শেষ হয় না। বরকতসাহেব যে পথ দেখিয়েছেন, মানুষের সেবা করা, সেই পথে আমিও চলতে চাই।’
একইসঙ্গে জাতীয় স্তরের দল হিসেবে কংগ্রেসের প্রধান প্রতিপক্ষ যে বিজেপি, সেটাও এদিন স্পষ্ট করে দেনে ঈশা। কংগ্রেস প্রার্থী সাফ বলেন, ‘আমরা কোনও দলকেই হালকাভাবে নিই না। তবে কংগ্রেস জাতীয় দল, বিজেপি জাতীয় দল। আমাদের প্রধান শত্রু বিজেপি। বাকিরা আঞ্চলিক দল। তাই বিজেপিকে টক্কর দিতে পারবে একমাত্র কংগ্রেস।’ যদিও বামদের সঙ্গে আদৌ জোট হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে এদিন স্পষ্টট করে কিছু বলতে চাইলেন না ঈশা। তবে জোট হলে বামদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করা হবে বলে জানিয়েদেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে কংগ্রেসের হয়ে বিধায়ক হয়েছেন ঈশা খান চৌধুরী। ২০১১ সালে বৈষ্ণবনগর কেন্দ্র থেকে প্রথামবার ভোটে জিতে বিধায়ক হন তিনি। তারপর ২০১৬ সালে সুজাপুর কেন্দ্রে পরিবারেরই অপর সদস্য আবু নাসের খান চৌধুরীরর বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হন ঈশা। যদিও ২০২১-এ অবশ্য সুজাপুর থেকে পরাজিত হন তিনি। এখন দেখার লোকসভা নির্বাচনে বাবা আবু হাসেমের মতো ঈশাও মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রকে ‘হাত’-এর মুঠোয় রাখতে পারেন কি না।