ভোটের মুখে তাঁদেরকে সরিয়ে দেওয়ায় স্বভাবতই চিন্তায় পড়েছেন সিইও দপ্তরের আধিকারিকরা। কারণ, নতুন অফিসার আসার পর কমিশনের কাজ বুঝে নিতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে এটাই স্বাভাবিক। অমিত রায়চৌধুরী এবং রাহুল নাথ, দু’জনের বিরুদ্ধেই তৃণমূলের প্রতি আগেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এ নিয়ে কমিশনের কাছে নালিশও জানিয়েছিল তারা।
তাঁদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার জন্যই দুই অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হলো বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে এরকম আরও কয়েকজনকে সরানো হতে পারে। আরও কয়েকটি জেলার ডিএম-এসপি’কেও বদলি করা হতে পারে।
এই বদলির প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছে। ওরা যখন যা চাইছে, এজেন্সিগুলো তা-ই করছে। এভাবেই ওরা দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।’
বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়ার পাল্টা যুক্তি, ‘ইলেকশন কমিশনের অফিসে যদি কোনও অফিসার দীর্ঘকাল ধরে থাকেন, তাহলে তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। যাঁদেরকে সরানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন তো প্রায় ১০-১১ বছর কমিশনে রয়েছেন। আমাদের কাছে খবর ছিল, তাঁরা ওখান থেকে সমস্ত গোপন খবরাখবর বাইরে পাচার করে দিতেন। সেজন্য ওঁদেরকে সরিয়ে কমিশন সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে।’
লোকসভা ভোট ঘোষণার পর পরই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে অপসারিত করেছিল কমিশন। একই ভাবে পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম জেলার ডিএম’দেরও সরানো হয়। রাজীবের পরিবর্তে একদিনের জন্য অন্তর্বর্তী ডিজিপির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিবেক সহায়কে। পরে তাঁকে আবার সরিয়ে দিয়ে রাজ্যের পাঠানো তিন সিনিয়র অফিসারের তালিকা থেকে ডিজিপি হিসাবে বেছে নেওয়া হয় সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে।