বিস্তার সঙ্গে প্রচারে গুরুং
কয়েক বছর আগে অবশ্য বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূলের হাত ধরেছিলেন। তবে সেই বিমল গুরুং ফের হাত মিলিয়েছেন এনডিএ-র সঙ্গে। তাতেই দার্জিলিঙের রাজনৈতিক উত্তাপ একলপ্তে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং এবারও রাজু বিস্তকে সমর্থন করেছেন। রাজু বিস্তার হয়ে যেমন প্রচার সারছেন, তেমনই প্রার্থীর সঙ্গে নানা জায়গাতেও যাচ্ছেন তিনি। এমনকী বৃহস্পতিবার বিজনবাড়িতেও একই মঞ্চে দেখা যায় গুরুং ও বিস্তকে।
কী বলছেন গুরুং?
এই বিষয়ে গুরুংয়ের দাবি, বিজেপি পাহাড়ের উন্নয়ন করতে পারবে। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করতে পারবে বিজেপিই। এখানেই শেষ নয়, কিছুদিন আগে দার্জিলিঙের ম্যালে একটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে গুরুংকে ফের একবার আলাদা রাজ্যের দাবি করতে শোনা যায়। তবে লোকসভা ভোটের আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে অবশ্য খুব একটা আসতে চাইছেন না তিনি।
গুরুত্ব দিচ্ছেন না অনীত
এদিকে গুরুং-এর এই এনডিএ-তে যোগকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা(বিজিপিএম)। এই বিষয়ে বিজিএপিএম সুপ্রিমো তথা জিটিএ চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটেও বিজেপির সঙ্গে কাজ করেছিলেন বিমল গুরুং। পাহাড়ের মানুষ ফল বুঝিয়েছেন। লোকসভা ভোটেও মানুষ তা বুঝিয়ে দেবেন।’ অন্যদিকে বিমল গুরুং পাহাড়ে দুর্নীতিকে প্রচারের হাতিয়ার করেছেন। কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকায় দুর্নীতি হয়েছেন বলেই অভিযোগ তাঁর। যদিও অনীত থাপার বক্তব্য, ‘আমিও চাই অডিট করা হোক। দুর্নীতির কথা শুধু মুখে বললে হবে না।’
সমতলে প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল
এদিকে পাহাড়ের তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, বিজেপি কিংবা গুরুংয়ের সঙ্গে পাহাড়ের মানুষ নেই, আর জিটিএ ও পঞ্চায়েত ভোটে তা মানুষ বুঝিয়েও দিয়েছেন। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভানেত্রী(সমতল) পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘সমতলে আমরা প্রার্থী গোপাল লামার হয়ে প্রচার করছি। পাহাড়ে বিজিপিএম প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছে। দলও প্রচার করছে।’ এদিকে গুরুং প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা নিজে জানান, ‘তাঁর (বিমল গুরুং) জন্যই আমার রাজনীতিতে আসা। কে কী বলছেন জানা নেই। তবে গতবারের থেকেও বেশী ভোটে জিতব।’