ছাত্র সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, পূর্বে যেখানে পুরো স্কোরই হাউসস্টাফ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিবেচিত হত। সেখানে নতুন নিয়ম যোগ হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, টোটাল স্কোরের ১৫% এই ইন্টারভিউ থেকে নেওয়া হবে। এছাড়া প্রতিটি বিষয়ে অনার্সের জন্য ৫% করে স্কোর যোগ হবে। ফলে অনার্সের উপর অত্যাধিক বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও-র মেডিক্যাল ইউনিটের তরফে একটি প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা মনে করি, হাউসস্টাফ নিয়োগে এই ইন্টারভিউ যুক্ত করে সেখানে ১৫% নম্বর রাখার অর্থ গোপনে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির রাস্তা খুলে দেওয়া।’ অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই কম নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও অনেকে শুধুমাত্র ইন্টারভিউতে দারুণ নম্বর পেয়ে হাউসস্টাফ তালিকার উপরের দিকে স্থান পেয়েছে। এঁদের অধিকাংশই শাসক দলপন্থী বলে মনে করছে ছাত্র সংগঠন।
হাউসস্টাফ নিয়োগের নিয়ম বদল নিয়েই মূলত আপত্তি জানিয়েছে ছাত্র সংগঠনের। ইন্টারভিউতে কেন নম্বর বাড়ানো হল, সেই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকে। অনেকেই মনে করছেন, ইন্টারভিউতে নম্বর বাড়ানো মানে সেখানে স্বজনপোষণের একটা সম্ভাবনা থাকছে। সেই কারণেই তাঁরা এই নিয়ম নিয়ে আপত্তি তুলছেন। সরকারি হাসপাতালে হাউস স্টাফ নিয়োগের অনিয়ম হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেক।
পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের তরফে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে হাউসস্টাফ নিয়োগ করা হয় থাকে। এই নিয়োগ নিয়েই সন্দেশপ্রকাশ করছেন অনেকে। ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও-র মেডিক্যাল ইউনিটের তরফে প্রেস বিবৃতিতে বিস্তারিত বিষয়টি নিয়ে জানানো হয়েছে। সেখানে একাধিক বিষয় নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে। তবে, এই ব্যাপারে নিয়োগের নিয়মের কোনও পরিবর্তন করা হবে কিনা, সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে কিছু জানানো হয়নি।