নির্বাচনের সময় ভোটের ডিউটি করতে হয় একাধিক পুলিশ কর্মীকে। রাজ্য়ের বিভিন্ন জেলায় তাঁদের ডিউটি দেওয়া হয়। এবার ভোটের ডিউটিতে কর্তব্যরত রাজ্য পুলিশ কর্মীদের জন্য সাম্মানিকের আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গেল প্রস্তাব। এই প্রস্তাব পাঠিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ স্টেট ওয়েলফেয়ার কমিটি। শুধু পুলিশ নয়, হোমগার্ড এবং এনভিএফ কর্মীরাও যাতে সাম্মানিক পান, সেই আর্জি জানানো হয়েছে।ভোটের জন্য কোনও পুলিশ কর্মী অন্য জেলাতে গেলে পুলিশ কর্মীরা একটি টাকা পেয়ে থাকেন। ১৫ দিনের জন্য এক একজন পুলিশ কর্মী দুই হাজার টাকা করে পান। তার থেকে এক সপ্তাহ বেশি হলে তা হয়ে যায় হাজার টাকা। অন্য জেলাতে ভোটের ডিউটি করতে গেলে পুলিশ কর্মীদের শোয়া, খাওয়ার সমস্যা হয় অনেক সময়। কেউ কেউ হোটেল থেকে খাবার কিনে খান। আবার শোয়ার জায়গা পান না অনেকেই। সেক্ষেত্রে আশ্রয়স্থলও খুঁজতে হয়। যার জন্য একটা নির্দিষ্ট অর্থ খরচ হয়।

ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ স্টেট ওয়েলফেয়ার কমিটি পর্যবেক্ষণ, অনেক সময় পুলিশকর্মীদের অন্য জেলায় ডিউটি হয়তো দেওয়া হয় না। কিন্তু, অন্য মহকুমাকে ডিউটিতে পাঠানো হয়। সেক্ষেত্রে তাঁদের থাকা খাওয়া বাবদ একটা খরচ হয়। কিন্তু, যেহেতু অন্য জেলায় তাঁদের পাঠানো হচ্ছে না সেই জন্য তাঁরা টাকাও পাচ্ছেন না। সরকারি ডিউটির জন্য তাঁদের পকেট থেকে টাকা খরচ করতে হচ্ছে এক্ষেত্রে।

আর এই বিষয়গুলিকে সামনে রেখেই ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ স্টেট ওয়েলফেয়ার কমিটি একটি প্রস্তাব, কোনও পুলিশকর্মীর যদি ডিউটি অন্য মহকুমাতে পড়ে তাহলে তাঁদের খরচের বিষয়গুলি মাথায় রেখে একটি সাম্মানিক দেওয়া হোক। ফলে তাঁদের ভোটের সময় যে খরচ হচ্ছে তা বাবদ একটি নির্দিষ্ট অর্থ তাঁরা পাবেন। আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব তাঁদের জন্য।

চেয়ারে বসেই অসুস্থ, বাংলায় ভোটের ডিউটিতে এসে ফের মৃত্যু জওয়ানের

উল্লেখ্য, নবান্নে এই প্রস্তাব পাঠানোর পর তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যে যে বিষয়গুলি সামনে রাখা হয়েছে তা বিবেচনা করা হচ্ছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ স্টেট ওয়েলফেয়ার কমিটি প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে কী কোনও পদক্ষেপ করা হবে? এখন তাই দেখার।

প্রসঙ্গত, রাজ্যে সাত দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এর মধ্যে শেষ দফা নির্বাচন ১ জুন। ৪ জুন বার হবে ভোটের ফলাফল। কোন দল ক্ষমতায় আসতে চলেছে? এখন সব নজর সেই দিকেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version